সুমন ভট্টাচার্য্য
উত্তরপ্রদেশে দুটি আসনে উপনির্বাচনের ফল বেরনোর পর ভারতের রাজনীতিতে ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী।
কারন, বিজেপি নেতারাও স্বীকার করেছেন দলিত নেত্রী মায়াবতী যে তাঁর সমস্ত ভোট সমাজবাদী পার্টিকে দিয়ে দিতে পারবেন, এটা তাঁরাও আন্দাজ করতে পারেননি। এবং বসপার ভোট সপার ঝুলিতে যাওয়ার কারনেই লোকসভার দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপনির্বাচনে বিজেপি অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে গিয়েছে। এই হার যতটা অপ্রত্যাশিত ততটাই বড় ধাক্কা বিজেপির কাছে। কারন ফুলপুর এবং গোরক্ষপুর দুটি আসনেই উত্তরপ্রদেশের দুই শীর্ষ নেতা, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য ছেড়ে দেওয়ায় খালি হয়েছিল। এরমধ্যে ফুলপুর কোনওদিনই বিজেপির কাছে দূর্গ না হলেও গোরক্ষপুর গেরুয়া বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। যোগী আদিত্যনাথ নিজেই গোরক্ষপুর থেকে গত পাঁচবার লোকসভায় জিতে সাংসদ হয়েছেন। বুধবারের উপনির্বাচনে বিজেপির হারের পর স্বভাবতই বিরোধীরা উল্লসিত। কারন তাঁরা মনে করছেন ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে একইভাবে সপা- বসপা মহাজোট গড়লে বিজেপিকে পযুর্দস্ত করা সম্ভব হবে। এবং সমাজবাদী পার্টির নেতারা ইতিমধ্যেই সেই কথা বলতে শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় রাজনীতির চরিত্র অত সহজ নয় বিশেষ করে যেখানে মায়াবতীর মতো রাজনীতিকরা আছেন। মায়াবতী লোকসভা উপনির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির হাত ধরেছেন বলে ২০১৯-এও ধরবেন এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। মনে রাখতে হবে মায়াবতী উত্তর প্রদেশের একমাত্র রাজনৈতিক চরিত্র যিনি এর আগে বিজেপির সঙ্গে জোট করেছেন। মায়াবতী বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে লখনৌয়ের কুর্সিতে বসেছিলেন। তাই ২০১৯ এ মায়াবতী যে ফের বিজেপির হাত ধরবেন না তা কে বলতে পারে!
তবে এই উপনির্বাচনের পর ইভিএম নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ জানানোটা নিশ্চয় বন্ধ হবে! বিজেপি জিতলেই ইভিএমে কারচুপি হয়েছে আর বিরোধীরা জিতলে চুপচাপ, এই দ্বিচারিতা এবার বন্ধ হোক। যাঁরা ইভিএম ছেড়ে আবার ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের দাবি জানিয়েছিলেন, তাঁরা নিশ্চয় বুঝবেন এভাবে অতীতে ফিরে যাওয়া যায় না। নির্বাচনে জিততে গেলে চাই সঠিক রাজনীতি এবং সমীকরণ।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan