নীল বণিক
রাজ্যের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে সরছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়? এমন জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে। সূত্রের খবর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এ রাজ্যের পর্যবেক্ষকের পদ থেকে সরতে পারেন তিনি।
তাঁর জায়গাতে রাজ্যের দায়িত্বে আসবেন অরবিন্দ মেনান। তিনি দলের সর্বভারতীয় সভাপতির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে দলের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত। অরবিন্দ মেনান অমিত শাহের হাত ধরেই প্রথম সর্বভারতীয় রাজনিতীতে প্রবেশ করেন। তাঁর অাগে তিনি মধ্যপ্রদেশের সাংগঠনিক সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। মধ্যপ্রদেশে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এমনকি তাঁকে মধ্যপ্রদেশ সরকারের একটি স্তম্ভ বলা হত দলের অন্দরে।
দিল্লিতে অরবিন্দ মেনান এতদিন পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলিতে দলের সংগঠন বিস্তারের কাজটি দেখতেন। গুজরাত নির্বাচনেও কয়েকটি বিধানসভায় তাঁর মাষ্টার স্ট্রোকে দল লাভবান হয়েছে বলে মনে করেন অমিত শাহ। তখন থেকেই তাঁকে এ রাজ্যে পাঠানোর ভাবনা চিন্তা শুরু হয়ে যায়। অমিত শাহ এমন একজনকে খুঁজছিলেন যিনি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে পারেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে এ রাজ্যের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা অনেক দিন অাগেই শুরু করে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। অন্তত দিল্লি এবং কলকাতায় দলের অন্দরে এমনটাই খবর। অরবিন্দ মেনান নিজেও সঙ্ঘের প্রচারকের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁকে সংঘের নেতৃত্ব বেশ পছন্দ করেন। তাই অরবিন্দকে এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক করলে কোনও অাপত্তি নেই সঙ্ঘেরও। তার ওপর মধ্যপ্রদেশের এই বিজেপি নেতা বাংলাটাও ভালো করেই জানেন। সংগঠন বিস্তারে ভাষা তাঁর কোনও বাধা হবে না। তাই অরবিন্দ মেনানের দায়িত্ব নেওয়াটা সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে বিজেপির একাংশ। যদিও এ রাজ্য ছেড়ে যাওয়াটা কৈলাসের ডিমোশান হিসেবে দেখতে নারাজ বিজেপি। সামনেই মধ্যপ্রদেশের ভোট। সেখানে তাঁকে মুখ করেই ভোটের প্রচারে দল যাচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan