ঈষাণিকা ভোরাই :
সরকারি চাকুরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রায় দেড় মাস আগে। কিন্তু সেই ভারতী ঘোষের ভুত এখনো বেশ জোরের সঙ্গেই তাড়া করছে বর্তমান রাজ্য প্রশাসনকে। তাই পুলিশ প্রশাসনের অভ্যন্তরে ভারতীর ছো৺য়া এড়াতে ইতিমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। তারমধ্যে ভারতী ঘনিষ্ঠ কয়েকজন পুলিশ অফিসারদের গ্রেফতারি যেমন আছে তেমনই ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত হবে । এবার ভারতীর ছোঁয়া এড়াতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে বৈঠক করতে হলো গত ছ’বছরে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের সঙ্গে। এই বৈঠকেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের বললেন, “এখন যারা পুলিশে আছে তাদের কথা শুনবে, আগে যারা পুলিশে ছিল তাদের কথা শুনবে না”। ইঙ্গিত পরিষ্কার। যে ভারতী ঘোষের হাত ধরে আত্মসমর্পণ করেছে এই ৩৫৫ জন এর অধিকাংশ; তাদেরকে মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন ভারতীর সঙ্গে তারা যেন আর সম্পর্ক না রাখে। একটা সময় ছিল যখন এই ভারতীর হাত ধরে জঙ্গলমহলের একের পর এক মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে। যদিও তখন এই আত্মসমর্পণের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। তবে আত্মসমর্পণ করার পর জঙ্গলমহলের পুলিশ নেত্রীর সঙ্গে এইসব মাওবাদীদের যোগাযোগ ছিল বেশ ভালই।। এবার তাদেরকে ভারতীর থেকে দূরে রাখার জন্যই সরকার এই বৈঠক ডেকে বলে মনে করছেন পুলিশ মহলের কেউ কেউ। তাইতো ছ’বছরে এই প্রথম আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে হলো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, যাতে এইসব আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা ভারতীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না রাখে। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল ভারতী বিদায়ের পর এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জঙ্গলমহল যাচ্ছেন আগামী ১৫ ও ১৬ তারিখ। তার আগে মাওবাদী মোকাবিলায় প্রাক্তন মাওবাদীদের কে সামনে রাখতে চাইছে রাজ্য সরকার। এই বৈঠকের বিষয়ে এটাও অন্যতম কারণ বলে জানাচ্ছেন সরকারি আধিকারিকদের কেউ কেউ। অবশ্য দীর্ঘদিন জেলা পুলিশ সুপার থাকার ফলে মাওবাদী নেটওয়ার্ক সম্বন্ধে ভারতী ঘোষ যতটা জানতেন; বর্তমান পুলিশ কর্তাদের মধ্যে আর কেউ ততটা জানেন না, ফলে এটাও সরকারের এই বৈঠকের একটা অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan