ঈষাণিকা ভোরাই
এটা কি মাস্টার স্ট্রোক নাকি দলের ভাঙন ঠেকাতে কর্মীদের বার্তা ? শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির বৈঠকে তৃণমূল নেত্রীর বার্তা কিন্তু দুটোই। শুধু পঞ্চায়েত নির্বাচনই নয় রাজ্যসভা নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর ঘোষণায় সেটাই বোঝা গেল। একদিকে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের পুরনো কর্মীদের কথা মাথায় রেখে মমতার সতর্ক বার্তা, “তৃণমূলের যারা পুরনো তারা যেন বঞ্চিত না হয়”। পাশাপাশি রাজ্যসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় তো শুধু চমকই চমক। সেখানেও সেই কর্মীদেরই জয়জয়কার। ‘পুরনোরা যেন বঞ্চিত না হয় ‘ বলে দলনেত্রী কী স্বীকার করে নিলেন যে তাঁর দলে পুরনোরা এতদিন বঞ্চিত হয়েছে! দলের মধ্যেই উঠছে সেই প্রশ্ন। অন্যদিকে রাজ্যসভার প্রার্থী তালিকায় নাদিমুল হক ছাড়া বাকি তিনজন নতুন মুখ, কর্মী মুখ। কর্মী বলে কম বলা হয় পুরনো কর্মী মুখ। শুভাশীষ চক্রবর্তী হলেন দলনেত্রীর দীর্ঘদিনের ইলেকশন এজেন্ট। বেহালার বাসিন্দা এই আইনজীবী দলের একনিষ্ঠ কর্মী হওয়ার সুফল পেলেন। অন্যদিকে ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতলেও ২০১৬ সালের নির্বাচনে হেরে যান নদীয়া জেলার আবির বিশ্বাস। বলিয়ে কইয়ে এই প্রাক্তন বিধায়ক কে এবার মমতা রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছেন। কিন্তু এই তালিকায় বোধ হয় সবচেয়ে চমক একদা মুকুল রায়ের বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন কলকাতা পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ড. শান্তনু সেন।
মনে করা হচ্ছে শান্তনুকে প্রার্থী করে মমতা এই বার্তাই দিলেন, মুকুলের দিকে যেওনা সুফল পাবে। তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেও ঠিক এই বার্তাই উঠে আসছে।
ঠেলার নাম মুকুল! তাই জন্যেই কী মমতা নিজেকে এবার ‘পুরানো সেই দিনের কথা’র সুরে বেঁধেছেন! দলের অন্দরে জমে উঠেছে এ হেন গুঞ্জন। তারকা ছেড়ে, প্রিয় সাংবাদিক ছেড়ে, উড়ে এসে জুড়ে বসা অন্য দল থেকে নেতাদের ছেড়ে, অরাজনৈকিক ‘ফুলবাবু ও বিবিদের’ সমাহার না করে এই যে মমতার মনে পড়ল পুরনো রাজনৈতিক কর্মীদের কথা, এর পিছনে মুকুলের ছায়াই দেখছেন দলের পোড় খাওয়া পুরনোরা।
এতদিনে মুকুলের কল্যাণে শিকে ছিঁড়ল তাদের!
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan