চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো।
ভবানীপুরে এক লাখ ভোটে জিততে চান মমতা। রবিবার শেষ লগ্নের প্রচারে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে আয়োজিত এক জনসভায় হাজির হন তিনি। সেখানেই মমতা বলেন, “ভবানীপুর আমরা চাই পোলটা এবার করুন। ৪০-৫০% এর বেশি ভোট হয় না এখানে, সেটাই দেখে আসছি। কিন্তু এবার সকলে ভোট দিন। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম জগাই-মাধাই-গদাই। এই কদিন অনেক কিছু করবে। মাথা ঠাণ্ডা রাখুন, ভোটটা দিন।” তিনি আরও বলেন, “”মাথা ঠান্ডা রাখুন। ৩০ তারিখ সময়মতো ভোটটা দিন। ১ নং বোতাম টিপে তৃণমূলকে জেতান। কারণ ভবানীপুর থেকে জিতেই আমি সিএএ, এনআরসি-র মতো বিষয়গুলো নিয়ে লড়াই করতে পারব। ভবানীপুর থেকে আমি রাজ্যকে নেতৃত্ব দিয়েছি, ভবানীপুর থেকেই আমি ভারত বাঁচানোর লড়াই করব।”
সভায় মুখ্যমন্ত্রীর আগে বক্তৃতা করেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এটা শুধু একটা বিধানসভার নির্বাচন নয়। এটা দেশ বাঁচানোর লড়াই। আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক লাখ ভোটে তাঁকে জেতান। নাহলে ভারতবর্ষকে বাঁচানো যাবে না। ভবানীপুর থেকেই দেশ বাঁচানোর কাজ শুরু করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” নাম না করে বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সততার বড়াই করেন। অথচ কাগজে মুড়িয়ে যাঁদের নিতে দেখা গেল, তাঁরাই দিল্লিতে গিয়ে তাঁর পাশে বসে ছবি তোলে।”
এই সভাতেই তাঁর আগে বক্তব্য রাখেন দলের তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়, রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার প্রমুখ। সবশেষে মমতার প্রচার মঞ্চে আসেন সঙ্গীত শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধে “একদিন ঝড় থেমে যাবে।‘