Breaking News
Home / অথ রাজনীতি কথা / দুয়ারে রেশন: ডিলাররা পাইলট প্রকল্প নভেম্বরে চাইলেও, সরকার অনড় পুজোর মাসেই

দুয়ারে রেশন: ডিলাররা পাইলট প্রকল্প নভেম্বরে চাইলেও, সরকার অনড় পুজোর মাসেই

চ‍্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো

শুরুতেই হোঁচট মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প দুয়ারে রেশনের। বৃহস্পতিবার রেশন ডিলারদের সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনে’র পক্ষ থেকে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেই চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের রেশন ডিলাররা অনুরোধ করেছেন, দুয়ারে রেশন পাইলট প্রকল্পের কাজ অক্টোবর মাসের বদলে নভেম্বর মাস থেকে শুরু করতে। কারণ, অক্টোবর মাস জুড়ে রাজ্যে উৎসবের মরসুমে। রেশন ডিলার-সহ উপভোক্তারাও থাকেন উৎসবের মেজাজে। সঙ্গে সরকারিভাবে ওই মাসে কর্মদিবসের সংখ্যা থাকে ১৯ দিন। এত কম সংখ্যক কর্মদিবস নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে না। তাই তাঁরা আগামী নভেম্বর মাস থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করার আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা।

তবে দুয়ারে রেশনের পাইলট প্রকল্পের কাজ কোনওভাবেই পিছনো সম্ভব নয়, তা জানিয়ে দিয়েছে খাদ্য দফতর। গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে রাজ্যজুড়ে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে খাদ্য দফতর। তাই খাদ্য দফতর মনে করছে মাত্র ১৫ দিন এই প্রকল্পের কাজের পর এক মাস তা বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। কারণ নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে যাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কাজ। তাই একমাসেই প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখলে, আগামী নভেম্বর মাসে কোনওভাবেই শুরু করা যাবে না দুয়ারে রেশন। খাদ্যমন্ত্রী রথীন বলছেন, “এটা ঠিক যে অক্টোবর মাস জুড়ে রাজ্যে উৎসবের মরসুম। তাই উৎসবের দিনগুলিতে প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকবে। কিন্তু, তা বলে একমাস প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।” তিনি আরও বলেন, “আমরা জানিয়ে দিয়েছি অক্টোবর মাসে ১৫ দিনের জন্য চালু থাকবে দুয়ারে রেশনের পাইলট প্রকল্পের কাজ। আর নভেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী সবুজ সঙ্কেত দিলেই রাজ্যজুড়ে তা পুরোদমে চালু হয়ে যাবে।”

বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ইশতেহারের স্থান পেয়েছিল দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালুর কথা। তৃতীয়বার নবান্ন দখল করে এই প্রকল্প শুরু করতে খাদ্য দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই উৎসবের মরসুমেও যে এই প্রকল্পের কাজ থেমে থাকবে না, তা বলাই বাহুল্য। তবে নিজেদের দাবিতে অনড় রেশন ডিলাররাও। সংগঠনের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, “সরকার যাই বলুন না কেন। আমাদের পক্ষে উৎসবের মরসুমে এই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। ওই সময়ে কর্মচারীরা দোকানে এসে কাজ করতে চান না। তাঁরা কীভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন দিয়ে আসবেন?”

খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, যে প্রকল্পের কাজ একবার শুরু হয়ে যায় তা মাঝপথে বন্ধ করা যায় না। যদি না কোনও বড়োসড়ো বিপত্তির সম্মুখীন হয় সরকার। এক্ষেত্রে মাত্র ১৫ দিন এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে আবার অক্টোবর মাস থেকে বন্ধ করে দিলে তা রাজ্যের মানুষের কাছে ভুল বার্তা বহন করবে। তাই রেশন ডিলারের দাবি কোনওভাবেই মানা সম্ভব নয়। কিন্তু রেশন ডিলার রাব্বিকে বসায় প্রকল্পের কাজ কিভাবে এগোবে তা নিয়ে সন্দিহান খাদ্য দফতরের কর্তারা।

Spread the love

Check Also

চোরেদের মন্ত্রীসভা… কেন বলেছিলেন বাঙালিয়ানার প্রতীক

ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস : আজ বাংলার এবং বাঙালির রাজনীতির এক মহিরুহ চলে গেলেন। শ্রী বুদ্ধদেব …

আদবানি-সখ্যে সংকোচহীন ছিলেন বুদ্ধ

জয়ন্ত ঘোষাল : লালকৃষ্ণ আদবানির বাড়িতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মধ্যাহ্ন ভোজে আসবেন। বাঙালি অতিথির আপ্যায়নে আদবানি-জায়া …

নির্মলার কোনও অর্থনৈতিক চিন্তা-ভাবনা নেই

সুমন ভট্টাচার্য এবারের বাজেটটা না গরিবের না মধ্যবিত্তের না ব্যবসায়ীদের কাউকে খুশি করতে পারলো। দেখে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *