চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো।
দলছুট ‘পচাদের’ দলে নিতে রাজি নয় তৃণমূল।
২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের লম্বা তালিকা জমা পড়েছে কালীঘাটে।
ইতিমধ্যে মুকুল রায়-সহ চার বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনালী গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাসরা এখন দলে ফেরার আবেদন জানিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, তৃণমূল থেকে বিজেপি যাওয়া নেতাদের দলে ফেরানো চেয়ে রাজ্য বিজেপি-কে দুর্বল করাই লক্ষ্য তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। তাই বিজেপি- প্রতীকে নির্বাচিত সাংসদ ও বিধায়কদের দলে নেওয়ার প্রবণতাই বেশি তৃণমূলের।
তাই রবিবার ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রচার মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, “যারা পচা। ভোটের আগে দল থেকে বিজেপি-তে গিয়ে তৃণমূল পরিষ্কার করে দিয়েছেন। তাদের আমরা কেন ফেরত নিয়ে দল নোংরা করব।” এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় একমত তাও জানাতে ভোলেননি অভিষেক। তৃণমূল সূত্রে খবর, বর্তমানে বিজেপি-র ৩১ জন বিধায়ক ও পাঁচ জন সাংসদ তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছেন। সোমবার সকালে টুইট করে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগের জল্পনা উস্কে দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্য বিজেপি-র মধ্যে এক অস্বস্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতে সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর সোমবার দিল্লিতে যাচ্ছেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূল যেমন পচাদের নিতে নারাজ, তেমনই বিজেপি-ও এখন বিশ্বস্ত নেতাদের অন্বেষণে ব্যস্ত। কারণ, আগামী তিন বছর তিন ধরনের ভোটের সম্মুখীন হতে হবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি-কে। ২০২২ সালে রাজ্যের ১২৮টি পুরসভার ভোট, ২০২৩ সালে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট ও ২০২৪ সালে লোকসভা এখন চ্যালেঞ্জ রাজ্য বিজেপি-র কাছে।