Breaking News
Home / TRENDING / স্বরাজ পল, মুকেশ আম্বানিদের জন্যে সাজছে তিলোত্তমা

স্বরাজ পল, মুকেশ আম্বানিদের জন্যে সাজছে তিলোত্তমা

ঈষানিকা ভোরাই

 

কথায় আছে ‘পহেলে দর্শনধারী, ফির গুণবিচারী’!
এ বছরের বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের ক্ষেত্রে এই দর্শনধারী পন্থাই় আপাতত নিচ্ছে রাজ্য সরকার । এই দর্শনধারী পন্থাটা ঠিক কেমন? ইতিমধ্যেই কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন শহরগুলোকে একটা ঝা চকচকে লুক দিয়েছে বর্তমান সরকার । নীল সাদা আলো ও রঙে সেজে উঠেছে শহরগুলি। তবে দেশ-বিদেশের শিল্পপতিদের দৃশ্য সুখের অনুভূতি দিতে এবার একেবারে বিমানবন্দর থেকে শুরু করে নবান্ন পর্যন্ত একটা বিস্তীর্ণ রাস্তা ধরে গ্রীন জোন করার পরিকল্পনা নিয়েছে পুরো ও নগরোন্নয়ন দফতর। কি থাকছে এই গ্রীন জোনে?দমদম বিমানবন্দর থেকে শুরু করে নবান্ন পর্যন্ত এই দীর্ঘ রাস্তার দু’পাশে কোথাও কোনও আবর্জনা পড়ে থাকতে দেওয়া হবে না, সেই সঙ্গে এই পুরো রাস্তাটাই সাজানো হবে এলইডি আলো দিয়ে। সরিয়ে ফেলা হবে সমস্ত বেআইনি হোর্ডিংও । শুধুমাত্র সরকারী ও আইনি হোর্ডিং ছাড়া এই রাস্তার দু’পাশে আর কোনও দৃশ্য দূষণ ঘটানোর মত হোর্ডিং বা বিজ্ঞাপন থাকবে না। রাস্তার বুলেভার্ডগুলোকে সুন্দর বাহারি গাছ দিয়ে সাজানো হবে । রাস্তার দু’পাশে থাকবে ছোট ছোট কেয়ারি করা সবুজ বাগান। এতসব বন্দোবস্তো শুধুমাত্র শিল্পপতিদের চোখে শহরকে আরও সুন্দর করে দেখানোরই প্রচেষ্টা। সজ্জন জিন্দাল থেকে মুকেশ আম্বানি আবার আম্বানি থেকে লর্ড স্বরাজ পর, একেবারে ব‍্যক্তিগত স্তরে গিয়ে এই সব শিল্পপতিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবারের এই শিল্প সম্মেলনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছেও এবারের এই শিল্প সম্মেলন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। পরবর্তী লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনের আগে এ রাজ্যে অন্তত একটি বৃহৎ শিল্প স্থাপন যে এখন মমতার পাখির চো‌খ‌। তিনি অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে তাঁর চেষ্টার কোনও ত্রুটিই রাখছেন না। তবে গত কয়েক বছরের বাৎসরিক বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলন রাজ্যে তেমন বড় কোনও শিল্প স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেনি। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র যতই দাবি করুন না কেন এ রাজ‍্যে বৃহৎ বিনিয়োগ এখনও বলার মত কিছু হয় নি, ফলে বিনিয়োগ আনার ব‍্যাটন নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ২০১৮ সালের এই বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলন কে, যে করে হোক সফল করে তুলতে চেষ্টার কোনও খামতি রাখতে চাইছে না নবান্নের শীর্ষকর্তারা। তারই অংশ হিসেবে একেবারে দমদম বিমানবন্দর থেকে শুরু করে এই প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় নবান্ন পর্যন্ত বিস্তীর্ণ রাস্তা ঝাঁ-চকচকে বিদেশি ধাঁচে সাজিয়ে তুলে শিল্পপতিদের চোখে রাজ্যের একটা উন্নত ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চাইছে বর্তমান সরকার । সেই কারণেই এই গ্রীন জোনের ভাবনা।

 

বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

https://www.youtube.com/channelhindustan

https://www.facebook.com/channelhindustan

 

 

Spread the love

Check Also

চোরেদের মন্ত্রীসভা… কেন বলেছিলেন বাঙালিয়ানার প্রতীক

ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস : আজ বাংলার এবং বাঙালির রাজনীতির এক মহিরুহ চলে গেলেন। শ্রী বুদ্ধদেব …

আদবানি-সখ্যে সংকোচহীন ছিলেন বুদ্ধ

জয়ন্ত ঘোষাল : লালকৃষ্ণ আদবানির বাড়িতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মধ্যাহ্ন ভোজে আসবেন। বাঙালি অতিথির আপ্যায়নে আদবানি-জায়া …

নির্মলার কোনও অর্থনৈতিক চিন্তা-ভাবনা নেই

সুমন ভট্টাচার্য এবারের বাজেটটা না গরিবের না মধ্যবিত্তের না ব্যবসায়ীদের কাউকে খুশি করতে পারলো। দেখে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *