শৌভিক সান্যাল :
কারনানকে কলকাতায় আনার পর তাঁকে শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। সুপ্রিম কোর্ট আগেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ছ’মাসের জন্য কারাদণ্ড দিয়েছিল। এই শুনে গা-ঢাকা দেন প্রাক্তন বিচারপতি সি এস কারনান। এদিন প্রায় দুটো নাগাদ ফ্লাইট নম্বর এ আই ০৭৬৬-এতে কলকাতায় আনা হয় কারনানকে। সেখানে প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা। প্রায় দুটো পঁচিশ নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের যে-দল চেন্নাই যায় তার প্রধান ছিলেন ডিজি আইবি রাজ কানোরিয়া।
কারনানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি আইন এবং প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বিচারপতির আসনে বসে নিজের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় সংবিধানের ১৪২ নং আর্টিকেল-এ তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট। এর পরেই শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে কারনানের রোষ উগরে দেওয়ার পালা। তিনি দাবি করেন দলিত সম্প্রদায় থেকে যাঁরা বিচারপতির আসনে বসেছেন তাঁদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছেন অন্য বিচারপতিরা। এই ঘটনায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত এবং সংবিধানকে অপমান করা হয়েছে বলে দাবি ওঠে। সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় প্রথমে সি এস কারনানকে সাবধানও করেছিল। সেই সাবধানবাণীতে কর্ণপাত করেননি কারনান। ফলে, আদালত অবমাননার দায় গিয়ে পড়ে তাঁর ওপর। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মেনে কারনান এককথায় ফেরার হয়ে যান। এরাজ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে তাঁর বিধান নগরের বাসভবনে দেখা করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ সঙ্গে ছিলেন বিধান নগরের পুলিশ কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিং। ওঁদের থেকে আদালতের নির্দেশ পাওয়া সত্ত্বেও কাউকে কিছু না জানিয়ে গা-ঢাকা দেন কারনান। তারই পরিণতি দেখতে হল তাঁকে।
লাইক ও শেয়ার করুন