প্রথা মেনেই শুভ সূচনা মহোৎসবের
শৌভিক সান্যাল ও গৌতম দত্ত :
পথে যেন এতটুকুও ধুলিকণা না থাকে। তাই প্রথা মেনেই সোনার ঝাঁটা দিয়ে রাস্তা পরিস্কার করে শুরু হল প্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রার মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া। আর সেই দৃশ্য দেখতেই পথের দুধারে ভিড় জমালেন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। প্রভুর দু চোখে চোখ রেখে অশ্রু ধারা যখন নামলো তখন মুখ দিয়ে একটাই শব্দ শোনা গেল ‘জগন্নাথ স্বামী, নয়ন পথগামী ভবতু মে’।
কলকাতার ইসকনের রথ এবছর ৪৬তম বর্ষে পা দিল। রথের দড়ি টানলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুব্রত বক্সিও।
প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের ঢল সামলাতে রীতিমত নাস্তানাবুদ হতে হয় কলকাতা পুলিশকে।রাস্তার মোড়ে মোড়ে ব্যাইরকেড করে দেওয়া হয়েছিল যাতে যাত্রাপথ আরও মসৃণ হয়।
এদিন ওডিসি নৃত্য পরিবেশন করেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ডান্স ট্রুপ। এবারে দক্ষিণ ভারতের কায়দায় সেজে উঠেছে ইসকনের রথ। মুল আকর্ষণ স্বামী রামানুজানন্দের এক হাজার তম জন্মবার্ষিকী।
তখন প্রায় দুপুর দেড়টা অ্যালবার্ট রোড অর্থ্যাৎ ইসকন মন্দির থেকে রথ বেরিয়ে এজেসি বোস রোড, শরৎ বোস রোড, আশুতোষ মুখার্জী রোড, এক্সাইড ক্রসিং হয়ে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে শেষ হয়। ৩ জুলাই পর্যন্ত সেখানেই রাখা থাকবে প্রভু জগন্নাথের রথ।
তবে রুপোলি পর্দায় ভাঁটা পড়ল এবারের ইসকনের রথে। বাংলা সিনেমা জগতের অভিনেত্রী শ্রাবন্তী ছাড়া আর বিশেষ কাউকেই দেখা যায়নি কলকাতার রথের দড়ি টানতে।
ইসকনের পক্ষ থেকে রথ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার ও স্পোক্সর্পাসন রাধারমণ দাস। অনঙ্গমোহন দাস, ইসকনের চেয়ারম্যান এবং গঙ্গাকুমার, ইতালির প্রতিনিধি।
লাইক ও শেয়ার করুন