ভজন গঙ্গোপাধ্যায় :
“আমি কোনও নাশকতামূলক বা সরকারের বিরুদ্ধে কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত নই।” এখন থেকে হস্টেলে থেকে পড়তে গেলে রাজ্য সরকারের কাছে এই মুচলেখা দিতে হবে। তবেই সেই ছাত্র বা ছাত্রী হস্টেলে থেকে পড়তে পারবে।
সম্প্রতি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে হস্টেলে থাকতে গেলে যে ফর্মে সই করতে হয় সেই ফর্মে এই মুচলেখা দিতে হবে।
ফর্মে চারটি হস্টেলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমটি হল সিধু কানহু হস্টেল। দ্বিতীয়টি হল সেন্ট ডেভিড হস্টেল। তৃতীয়তটি হল রানি রাসমণি ছাত্রীনিবাস এবং চতুর্থটি হল বিধাননগর সেন্ট্রাল হস্টেল।
এই চারটি হস্টেলে থাকতে গেলে রাজ্য সরকারের কাছে এই মুচলেখা দিলে তবে থাকার জায়গা মিলবে।
কলকাতায় পড়তে এসে হস্টেলে থাকা-খাওয়ার প্রথা দীর্ঘ দিনের। তা সে প্রেসিডেন্সির পিছনে হিন্দু হোস্টেলই হোক বা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসই হোক। কলকাতার বাইরের কোনও রাজ্য হোক বা প্রত্যন্তর গ্রাম। পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার জন্য এতদিন তাই হস্টেলে থাকা-খাওয়ার জায়গা পেলেই বর্তে যেত। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন থেকে অত সহজে আর হস্টেল পাওয়া যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও ছাত্র সংগঠন বা প্রশাসনিক স্তরে এবিষয়ে এখনই কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। অনেকেরই দাবি, ‘ওটা নিয়মের মধ্যেই পড়ে।’
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন