বৃহস্পতিবার হেমতাবাদের ঘটনা কী নেহাতই কাকতালীয়! নাকি এর পিছনে আছে কোনও গভীর অভিসন্ধি আছে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চে একেবারে ভিভিআইপি পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়াটা কিন্তু কোনওভাবেই হঠাৎ ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ নবান্নের শীর্ষকর্তারা। একদিকে যেমন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা এই ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ঠিক তার পাশাপাশি উদ্বিগ্ন নবান্নের কর্তারাও। তাই পৃথকভাবে দু’দুটো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এই ঘটনায়। রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থ তদন্ত করে দেখবেন ওই দুই বোন কিভাবে মালদহ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পিছু নিল, ৩ টি জেলা পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগ সবার চোখে ধুলো দিয়ে কিভাবে পৌঁছে গেল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।পাশাপাশি তদন্তের আওতায় থাকবে উত্তরদিনাজপুর জেলার করণদিঘির বাসিন্দা এই দুই বোন ঠিক কোন অবস্থায় কী কারণে এতটা সাহস সঞ্চয় করে উঠতে পারল! এই দুই বোনের পিছনে অন্য কেউ আছে কী না! সাধারণ গোবেচারা গ্রামের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে কেউ দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করিয়ে নিতে পারত বলেও মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনী তদন্তের আওতায় থাকছে। কারণ ভিভিআইপির জীবনের দায়িত্ব জেলা পুলিশের হাতে থাকে না। থাকে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের। মঞ্চে কারা থাকবে, ডি-জোনেই বা কারা থাকবে তার পুরো তালিকা আগে থেকেই তাদেরকে দেওয়া থাকে। এই তালিকার বাইরে একজনও ঢুকতে পারে না। সেখানে এই দুই বোন দু’দিন থেকে মঞ্চে ওঠার চেষ্টা করে। যা দেখে পুলিশেরই একাংশের অভিমত আগে থেকে পরিকল্পনা করেই এরা এসেছিল। তাই একদিক থেকে মঞ্চে ওঠার চেষ্টা না করে দু-দিক থেকে ওঠার চেষ্টা করে, যাতে একজন অন্তত সফল হতে পারে। কার্যত তাই হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় যে একটা বড়সড় ফাটল রয়েছে এই ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেল। ডিজি সিকিউরিটি বীরেন্দ্রকে এখন এটাই তদন্ত করে দেখতে হবে কেন এমন হল! অবশ্য এই ঘটনায় তিনি নিজেও তাঁর দায় এড়াতে পারেন না। দেখার বিষয় এটাই যে সুরজিৎ করপুরকায়স্থ এবং বীরেন্দ্র নবান্নে কী রিপোর্ট জমা করেন! আর সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে নবান্নই বা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে!
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan