দেবক বন্দ্যোপাধ্যায় : রমেশ প্রসাদ :
গুজরাতের ফলাফলের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হার্দিক প্যাটেলকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। অভিনন্দন জানিয়েছেন ভাল লড়াই দেওয়ার জন্য। অল্পেশ ঠাকুরকেও ফোন করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। নবান্নে সাংবাদিকদের কাছে খোঁজ করেছেন, তাঁদের কারও কাছে অল্পেশের ফোন নম্বর আছে কী না! তবে হিমাচল হাতছাড়া করে এবং গুজরাতে হেরেও যিনি একনিষ্ঠ বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন সেই রাহুল গান্ধিকে ফোন করে অভিনন্দন জানানোর কোনও আগ্রহ দেখাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও টুইট করে বিজেপির গুজরাতে পুনঃনির্বাচিত হওয়াকে মুখরক্ষার জয় বলেছেন। এমনকি গুজরাতের ফলাফলের মধ্যে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জন্য অশনি সংকেত দেখেছেন তিনি। তাঁর রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি তাঁকে এমন সম্ভাবনা দেখিয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী গুজরাতের ফলাফলের কোনও কৃতিত্ব রাহুলকে দিতে চাইছেন না মমতা! না দিতে চাওয়ার কারণও আছে। ২২ বছর পরে একটি রাজ্যে কার্যত সংরক্ষণের রাজনীতি করে শাসকদলের কিছু আসন কমিয়ে এবং একটি রাজ্য হারিয়ে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে ‘বিরোধী মুখ’ হয়ে উঠেছেন রাহুল! ২০১৯-এর আগে রাহুলের এই কাগুজে উত্থান সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধিতার কেন্দ্রীয় চরিত্র হতে চাওয়ার মমতার স্বপ্নে জল ঢেলে দিয়েছে।
জাতীয় রাজনীতিতে মোদি বিরোধী লাইনে
মমতাকে এখন রাহুলের
পিছনেই দাঁড়াতে হবে। সংসদেও কংগ্রেসের সঙ্গে বেশি মাখামাখি করতে সাংসদদের নিষেধ করেছেন মমতা।
বিজেপিও তাদের ঘোষিত নীতি অনুযায়ী আঞ্চলিক দলের বিরোধী। ফলতঃ বিরোধিতার লাগাম মমতার মত কোনও রাজ্যের নেত্রীর হাতে থাকার চেয়ে, কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের হাতে থাকাটা তাদের কাছে পছন্দের।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় স্তরে বিরোধী নেত্রী হয়ে ওঠার চেষ্টায় মমতা এবার ঘুঁটি সাজাবেন নাকি নতুন বছরে মমতার নতুন অবতার দেখবে দেশ! তা জানতে আরও কয়েকমাস সবুর করা ছাড়া উপায় নেই।
তথ্য সহায়তাঃ ঈষানিকা ভোরাই
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan