নীল বণিক :
এ এক অদ্ভুত লুকোচুরি খেলা।
যাকে জঙ্গল-পাহাড় এক করে হন্যে হয়ে খোঁজা হচ্ছে, যাকে খুঁজতে গিয়ে প্রাণ কয়েকদিন আগে গেল তরতাজা প্রাণ, সেই তিনিই রীতিমত ঢাকঢোল বাজিয়ে জানিয়ে দিচ্ছেন কবে তিনি নিজেই সামনে আসবেন আর সকলকে বলবেন, ‘ধাপ্পা।’
পাহাড়ের দায়িত্বে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর তিন নামজাদা পুলিশ কর্তা এখন বেজায় চিন্তায়! ৩০ অক্টোবর গুরুঙ্গ কখন, কোথা থেকে বেরিয়ে এসে বলবেন ‘ধাপ্পা’, সেই চিন্তায় ঘুম নেই তাঁদের।
অমিতাভ মালিকের মৃত্যু, মৃত্যু পরবর্তী আবেগ, আবেগ থেকে উঠে আসা ‘গুরুঙ্গের মাথা চাই” দাবি, সবকিছু অতিক্রান্ত। কিন্তু গুরুঙ্গের দেখা নেই। তাঁকে গ্রেফতার তো দুরের কথা এখন তাঁর আগমনবার্তাতে পাহাড়ের ঠান্ডাতেও কার্যত ঘাম ঝরছে পুলিশ কর্তাদের। এ যেন গল্পের রঘু ডাকাত। আগে থেকে জানিয়ে আসে!
তাবলে প্রশাসন কী হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে! মোটেই না। নতুন করে পুলিশি তৎপরতা বাড়ান হয়েছে। গুরুঙ্গপন্থী মোর্চা নেতাদের প্রত্যেকের গতিবিধির উপর নজরও রাখছেন গোয়েন্দা কর্তারা। তিরিশে অক্টোবর পাহাড় জুড়ে সব রাজনৈতিক দলের মিটিং মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে জেলা পুলিশ। তবে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর একশো চুয়াল্লিশ জারি করা হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের ঘনিষ্ঠ নতুন জিটিএ-র চেয়ারম্যান সহ তাঁর অনুগামীদের কাজে লাগাচ্ছে প্রশাসন। শহরের প্রত্যেকটি রাস্তাতে পুলিশের পক্ষ থেকে তল্লাশি চালান হচ্ছে। নজর রাখা হয়েছে সিকিম থেকে নেপাল সীমান্ত পর্যন্ত।
প্রশ্ন উঠছে, যে গুরুঙ্গ রাজ্যের সব পুলিশের বন্দুকের টার্গেট তিনি কোন সাহসে, প্রায় ম্যালে হাওয়া খেতে আসার মত বলছেন যে তিনি ৩০ তারিখ দার্জিলিং-এর রাস্তায় আত্মপ্রকাশ করবেন!
অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর পর তিনি পালিয়ে বেড়াবেন এটাই স্বাভাবিক। উল্টে তিনি সামনে আসছেন আর তাঁর হঠাৎ করে চলে আসার চিন্তায় মশগুল প্রশাসন!
কার্যত মমতার পুলিশকে তোয়াক্কা না করার সাহস কিভাবে পাচ্ছেন গুরুঙ্গ সেই প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে পুলিশমহলেই।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan