মধুকল্পিতা চৌধুরী :
এক সময় ছিল কাছের বন্ধু। কিন্তু রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করে বনধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই বদলে যায় পুরো সমীকরণটাই। আপাতত নাম না করেই একে অপরকে দুষতে ব্যস্ত দুই মোর্চা নেতা বিনয় তামাং আর বিমল গুরুং। শুধু তাই নয় ক্ষোভ উগরে দিতে গিয়ে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করলেন বিমল গুরুঙ্গ। এদিন একটি বিবৃতিতে তিনি জানান যে, সমস্ত বাধা কাটিয়ে বিগত তিন মাস ধরে সমর্থকেরা গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছেন। তবে এরই মাঝে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্য জনক। কয়েকদিন আগেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বেশ কিছু মোর্চা সমর্থক। তবে এই বৈঠকের কথা শোনা মাত্রই তিনি সাধারন মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেন। তবে সেই সময় কিছু রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব বলতে বাধা দেন। এমনকি বহু রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁদের কোনও কথাকে কার্যত পাত্তা না দিয়েই তিনি মানুষকে সচেতন করার কাজ শুরু করেন। তাঁর দাবি সেই সময় যাঁরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ তাঁর কাছে আছে বলেও তাঁদের সচেতন করেন। সেই সচেতনতার বাণীকে তাঁরা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেন। তাঁর ফলেই এই মোর্চা নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয় বলেও দাবি করেন মোর্চা সুপ্রিমো। পাশাপাশি তাঁর দাবি রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক কোথায় হবে সে বিষয়েও কোনও কথাই জানতেন না তিনি। এমনকি বৈঠকে ঠিক কতক্ষন আলোচনা হয় সে বিষয়েও কিছুই জানতেন না তিনি বলেও অভিযোগ করেন গুরুঙ্গ। পাশাপাশি তিনি জানান যে, আন্দোলন চলাকালীনও তাঁরা অনেক বাধা কাটিয়েছে। সেই সমস্ত বাধা কাটিয়েও গোর্খা সমর্থকেরা আন্দোলন চালাচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। তবে, মোর্চা নেতাদের এই আন্দোলন জারি রাখতে বলেন বিমল গুরুঙ্গ। কোনও ভাবেই যেন গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলন থেকে মোর্চা নেতারা সরে না আসে বলেও আবেদন করেন তিনি।
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan