ওয়েব ডেস্ক:
গুরু শব্দের অর্থ যিনি অন্ধকার দূরীভূত করেন। প্রাচীন ভারতে গুরুকুলের সময়কালে গুরু-শিষ্য পরম্পরাকে সম্মানিত করতে এই একটি দিন উৎসর্গিত। আষাঢ় মাসের পূর্ণিমায় মুনি পরাশর এবং সত্যবতীরর ঘরে বেদব্যাস-এর জন্ম। যিনি মানুষের কাছে পরিচিত মহাভারত রচয়িতা বেদব্যাস নামে। তাঁর স্মরণে এই দিনটি হিন্দু সন্ন্যাসীরা বেদব্যাসকে শ্রেষ্ঠ গুরু মানেন। বেদব্যাসের রচনা ২১৬ স্তোত্রের ‘গুরুগীতা’ পাঠের মধ্যে দিয়ে হয় ব্যাস পুজো। মনে করা হয়, মহর্ষি বেদব্যাসের সময় থেকেই গুরু-শিষ্য সম্পর্কের শুরু। তাই এই দিনটিকে গুরুর উদ্দেশে শিষ্যের সম্মান প্রদর্শনের দিন হিসেবে পালন করা হয়।
বৌদ্ধ ধর্মেও গুরু পূর্ণিমার দিন পালন করা হয়। বোধজ্ঞান লাভের পর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমায় প্রথম ধর্ম-উপদেশ দিয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধ। সারনাথে। আবার পুরাণে আছে শিবের মাহাত্ম্য। মহাদেব হলেন আদিগুরু। তাঁর প্রথম শিষ্য সপ্তর্ষির সাত ঋষি—- অত্রি, বশিষ্ঠ, পুলহ, অঙ্গীরা, পুলস্থ্য, মরীচি এবং ক্রতু। ব্রহ্মার মানসপুত্র এই সাত ঋষিশ্রেষ্ঠ। আদিযোগী শিব এই তিথিতে আদিগুরুতে রূপান্তরিত হন। তিনি এদিন সাত ঋষিকে প্রদান করেন মহাজ্ঞান।
গুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে বৈদিক যুগ থেকেই পালিত হয়ে আসছে গুরু পূর্ণিমা। এমন বলা হয়ে থাকে, এদিন যদি গুরু আর গোবিন্দ একসঙ্গে এসে সামনে দাঁড়ান তাহলে গুরুকেই প্রথম প্রণাম জানাতে হবে। কেননা, গুরুই তো চিনিয়েছেন ঈশ্বরকে।