চ্যানেল হিন্দুস্থান, নিউজ ডেস্ক-
এগরা বিস্ফোরণের (Egra Blast) তদন্তে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই হাতে মিলল সাফল্য। ওড়িশায় ধৃত, খাদিকুল গ্রামের বাজি কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগ গ্রেপ্তার হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভানু বাগের ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগ ও ভাইপো ইন্দ্রজিৎ বাগও গ্রেফতার হয়েছে। ইন্দ্রজিতের বাবা বাদল বাগের বিস্ফোরণেই মৃত্যু হয়েছিল। সূত্রের খবর, ভানু বাগ কটকের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, পুলিশি নজরদারিতে রয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের পরই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বাইকে চেপে চম্পট দিয়েছিলেন ভানু। পুলিশের সন্দেহ ছিল, প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায় গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীও একই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এরপরই বুধবার মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে তার খোঁজ শুরু করে রাজ্য পুলিশ ও সিআইডি আধিকারিকরা।
ওড়িশায় পৌঁছে যায় পুলিশের টিমও, বুধবার ভানুর ছেলে ও ভাইপোকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে খবর মেলে কটকের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভানু বাগ। তার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বিস্ফোরণে। আপাতত তাকে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে, এই তথ্য জানিয়েছেন এগরার এসডিপিও মহম্মদ বদরুজ্জামান।
বিস্ফোরণের ক্ষত টাটকা, ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪। খাদিকুল জুড়ে একদিকে স্বজনহারাদের হাহাকার, সেই সঙ্গে প্রবল রাগ-ক্ষোভ। নিশানায় বাজি ব্যবসায়ী কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিস্তর।
স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় নাকি রীতিমতো জোরজুলুম চলত ভানুর। কেউ বলছেন, ভানু বাগ নন, গ্রামবাসীদের কাছে তিনি ‘বাঘ’। কেউ আবার জোর করে জমি দখল করে বাজি কারখানা তৈরির অভিযোগও তুলেছেন। কিন্তু বাগ পরিবারের দাবি একদম ভিন্ন।
কৃ্ষ্ণপদ বাগের ভাইপোর স্ত্রী মামনির দাবি, প্রতিবেশীরা বিপদ বুঝে মিথ্যে কথা বলছে। যে জমি কেড়ে নিয়ে কারখানা করার অভিযোগ উঠছে, সেটি নাকি তাদের কেনা। এখানেই শেষ নয়, গতকালের পর থেকে শোনা যাচ্ছে, খাদিকুল গ্রামে বাগবাড়িতেও নাকি বিস্ফোরণ হয়েছে একাধিকবার। সেই অভিযোগও নাকি মিথ্যে। যদিও বছর ১৫ আগে বিস্ফোরণে ভানু বাগের ছোটো ভাইয়ের মৃত্যুও হয়েছে।