নীল বণিক :
নোটবন্দির সময় শোনা গিয়েছিল অনেক ভাল ভাল কথা। তার মধ্যে ছিল নতুন দু’হাজার নোটের জাল করা কঠিন হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল বিপরীত চিত্র। কয়েক মাসের মধ্যেই জাল হয়ে বেরিয়ে গেল দু’হাজারি নোট। এমনকী রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১৭টি বৈশিষ্ট্য তুলে বিজ্ঞাপন দিয়ে বলেছিল এই নতুন দু’হাজার টাকার নোট কেন জাল করা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই কিন্তু ১০টি বৈশিষ্ট্য হুবহু নকল করে ফেলেছে জাল নোটের কারবারিরা! এই জাল নোটের সবথেকে বেশি কারবার বর্তমানে মালদা থেকেই হচ্ছে বলে খবর এনআইএ-র গোয়েন্দাদের কাছে।
মালদার মহব্বতপুর গ্রাম। বাইরে থেকে দেখে কোনও কিছুর বোঝার উপায় নেই ভিতরে কী চলছে। মালদার এই গ্রামের ওপর সবথেকে বেশি নজর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ-র। এই গ্রামটি বাংলাদেশ সীমান্তে হওয়ার ফলে এটি চোরাচালানকারীদের কাছে স্বর্গরাজ্য। বাংলাদেশ থেকে এই গ্রাম হয়েই চোরাচালানকারীরা প্রথমে যায় কালিয়াচক বাসস্ট্যান্ড কিংবা ফারাক্কা। তারপর সেখান থেকে জাল নোট নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিচ্ছে চোরাকারবারিরা। এনআইএ-র কাছে খবর, ওপারের নবাবগঞ্জের ছাপাখানাতে ছাপা হচ্ছে দু’হাজার টাকার জাল নোট।