কমলেন্দু সরকার :
কেরালাকে বলা হয় ভগবানের আপন দেশ। ছবির মতো সুন্দর! সমুদ্র, অরণ্য, পাহাড়, ঝরনা—– সবই রয়েছে কেরালায়।
তিরুবনন্তপুরম: এই শহরে রয়েছে— পদ্মনাভস্বামী মন্দির, চিড়িয়াখানা, নেপিয়ার মিউজিয়াম, শ্রীচিতা আর্টগ্যালারি, ত্রিবাঙ্কুর রাজাদের প্রাসাদ পুবেন মালিকা। এর পরিচিতি অবশ্য কুঠির মালিকা নামে। ভেলিলেগুন বিচ পার্কটি বেশ সুন্দর। এখানে বোটিং করা যায়।
কোভালম: তিরুবনন্তপুরম থেকে মাত্র ১৮ কিমি। মিনিট ৪০ লাগে এই সোনালি সমুদ্রসৈকত যেতে। ভাল সি ফুড পাওয়া যায়।
পোনমুডি: তিরুবনন্তপুরম থেকে ৫৪ কিমি। গাড়িতে ঘণ্টা দেড়েক লাগে। পাহাড়ের ওপর এক শান্তির ঠিকানা! নির্জন, নিরিবিলি পোনমুডিতে প্রচুর পাখি আছে। আর আছে অপূর্ব সব অর্কিড।
এর্নাকুলাম/কোচি: ভোম্বানাদ লেকের ধারে যমজ শহর। এটি কেরালা সবচেয়ে বড় লেক।
মুন্নার: এর্নাকুলাম থেকে ১৩০ কিমি। সড়কপথে সাড়ে তিন ঘণ্টা মতো। কেরালার সবচেয়ে জনপ্রিয় শৈলশহর। উচ্চতা ৫২০০ ফুট। চারিদিকে শুধুই চা বাগান। পাহাড়ের গায়েই ভিউ পয়েন্ট। কাছেই মাডুপেট্টি লেক। বোটিং করা যায় এখানে। সাত কিমি দূরে রাজামালাই বা ইরাভিকুলাম ন্যাশনাল পার্ক।
আলেপ্পি: প্রাচ্যের ভেনিস। স্বপ্নের মতো জায়গা! ব্যাক ওয়াটারে হাউসবোটে রাত কাটানো যায়।
পেরিয়ার: লঞ্চে ঘুরে ওয়াইল্ড লাইফ দেখা যায়। হাতির স্নান কিংবা হরিণের জল খাওয়া চোখে পড়বে! কাছেই কুমিল্লিতে আছে মশলা বাগান। মশলা বাজার আছে।
কীভাবে যাবেন: হাওড়া থেকে চেন্নাই। চেন্নাই নেমে এর্নকুলাম বা তিরুবনন্তপুরমের ট্রেন ধরতে হবে। হাওড়ার শালিমার থেকে ছাড়ে গুরুদেব এক্সপ্রেস। সরাসরি এর্নাকুলাম যায়। সবচেয়ে ভাল উড়ানে যাওয়া। অনেক সময় বেঁচে যায়।
কোথায় থাকবেন: কেরালা পর্যটন, জি-১১ দক্ষিণাপণ শপিং কমপ্লেক্স, গড়িয়াহাট রোড (দক্ষিণ), কলকাতা-৬৮।