ভাস্কর মান্না:
২০২২ সালের মধ্যে দেশে ৭টি বড় কৃষ্ণ মন্দির তৈরি করার কথা জানাল বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত ইসকন। জানা গিয়েছে, প্রায় ২১০০ কোটি টাকা খরচ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মন্দিরগুলো বানানো হবে। প্রত্যেকটি মন্দিরের গঠন হবে একেবারে আলাদা। এর মধ্যে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা বেঙ্গালুরু ও বৃন্দাবনে মন্দির তৈরি করতে খরচ করবে তাঁরা। এই দুটি মন্দিরের নির্মাণ এমন হবে যে, যেন ভগবান দর্শনের শ্রেষ্ঠ জায়গা। এমনকি এখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলা সমৃদ্ধ বৈকুণ্ঠ ধামকে তুলে আনার চিন্তা করছে তাঁরা। ওই সংস্থাটি জানিয়েছে, বৃন্দাবনে ৬৫ একর জমির উপর ৮০০ কোটি টাকা খরচ করে ‘বৃন্দাবন চন্দ্রোদয় মন্দির’ বানানো হবে। যা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ধর্মীয় মন্দিরের স্বীকৃতি পাবে। জানা যায়, ওই মন্দিরটি প্রায় ২১০ মিটার (৭০০ফুট) উঁচু বানানো হবে।
অন্যদিকে বেঙ্গালুরুর বৈকুণ্ঠ পাহাড়ে ৩২ একর জমির উপর বানানো হবে প্রায় ৪৫০ ফুট উঁচু ‘কৃষ্ণ লীলা ভীম পার্ক’ মন্দির। যা দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে উঁচু মন্দির হবে বলে অনুমান করা যাচ্ছে। এই মন্দিরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৪৬টি রূপের উপস্থাপনা করা হবে। একেবারে শেষে থাকবে রাধাকৃষ্ণের প্রেম রূপ। এছাড়া এই মন্দিরের সাতটি দরজা হবে এবং এই মন্দিরে ঠাকুরের ভোগের জন্য একটি রান্নাঘর নির্মাণ করা হবে যা পৃথিবীর সবথেকে বড় রান্নাঘর হিসেবে পরিচয় পাবে। শুধুমাত্র এই রান্নাঘরটিই নির্মাণ করা হবে ৩ একর জমির উপর। বেঙ্গালুরুতে এই পুরো মন্দিরটি নির্মাণ করতে খরচ হবে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা।
এছাড়া ইসকন গুহায়াটিতে ১০০ কোটি টাকা খরচ করে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে দেশের প্রথম ভাসমান মন্দির তৈরি করবে। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল, ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্তর বাড়লে এই মন্দিরও ক্রমশ উপরের দিকে উঠে আসবে। এই মন্দিরটি প্রায় ২০ একর জমির উপর বানানো হবে। ইসকনের এক কর্তা বলেন, এই মন্দিরগুলির নকশা তৈরি করবেন বেঙ্গালুরুর ইসকনের সভাপতি স্বামী মধু পন্ডিত দাস, সহসভাপতি চঞ্চলপতি দাস এবং স্বামী বাসুদেব দাস। তাঁরা জানিয়েছিলেন, মন্দিরের সব প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। ২০২২ সালের মধ্যে সব মন্দিরগুলোয় নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
এই তিনটি বড় মন্দির ছাড়াও ইসকন আরও চারটি মন্দির বানানোর কথা জানিয়েছে। ইসকনের এক কর্তা বলেন, ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯ একর জমির উপর মুসৌরিতে ‘নব বৃন্দাবন ধাম’ নামে একটি মন্দির নির্মাণ করা হবে। ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজস্থানের জয়পুরে ‘শ্রীকৃষ্ণ বলরাম মন্দির’, তেলেঙ্গানায় ‘হরে কৃষ্ণ গোল্ডেন টেম্পল’, এবং আহমেদাবাদে ‘হরে কৃষ্ণ মন্দির’ বানানো হবে।