ওয়েব ডেস্ক:
ইস্টবেঙ্গল কর্তারা চুপিচুপি কাজ সারছিলেন অনেক আগে থেকেই। বলতে গেলে, যেদিনই তাঁরা বুঝতে পারলেন এবারও হাতছাড়া হল আই লিগ। তারপর আইএসএল আর আই লিগ নিয়ে ক্যাচাল বাধল। কিন্তু কোন ফুটবলারকে রাখা হবে, কাকে ছাড়া হবে, আবার নতুন কাদের ননেওয়া হবে, এ নিয়ে চুপিসারে এগিয়ে চলেছিল লালহলুদ। তারই ফল মিলল হাতেনাতে। দলবদলে ইস্টবেঙ্গল টেক্কা দিল মোহনবাগানকে।
সবুজমেরুনে পুরনো খেলোয়াড় বলতে গেলে হাতেগোনা। একমাত্র আজাহারউদ্দিন মল্লিক, বিক্রমজিৎ আর শিলটন পাল ছাড়া কেউই তেমন সু্যোগ পাননি মাঠে নামার। এই তিনজনও ছিলেন দলের পার্টটাইম ফুটবলার। তবে নতুন মধ্যে অনেক ভাল ফুটবলারই রয়েছেন। সেই তালিকায় আছেন—- সোরাম পাইরে, কিংসলে, রিকি, হাওকিপ, ক্রোমা, কামো। তবে তিন বিদেশি কিংসলে, ক্রোমা আর কামো কলকাতা ময়দানে নতুন। জলকাদা মাঠে কেমন খেলবেন তা অজানা!
সেই জায়গায় ইস্টবেঙ্গল অনেকটাই লাভবান। লুই ব্যারেটো, অর্ণব মণ্ডল, গুরবিন্দর সিং, মেহতাব সিং, সামাদ আলি মল্লিক, অবিনাশ রুইদাস, লোবো, রফিক, নিখিল পূজারি, প্লাজাকে রেখে দিতে পেরেছে। আরও কয়েকজন আছেন তবে তাঁরা আংশিক এই তালিকার দু’তিনজনও তাই। বেশিরভাগই নিয়মিত ছিলেন। নতুনদের মধ্যে বেশিরভাগই গতবার দুর্দান্ত খেলেছিলেন। যেমন— লালরামচুল্লোভা, সালাম রঞ্জন সিং, আল আমনা, কোস্তা, সুরাবুদ্দিন মল্লিক, গ্যাব্রিয়েল ফার্নান্ডেজ, তেতেপুইয়া। কয়েকজন আছেন প্রতিভাবান ফুটবলার—- মির্শাদ, জাবি জাস্টিন প্রমুখ। তিন বিদেশির মধ্যে প্লাজা ছাড়া আল আমনা আর ডিওন মিচেলের কলকাতা ময়দানে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। ডিওন মিচেলের তো ভারতে খেলারই সুযোগ হয়নি কোনওদিন!
তবে দল লালহলুদ ভাল করল নাকি সবুজমেরুন! এসব আলোচনা করে লাভ নেই। জবাব দেবে মাঠ। গতবারের আই লিগ জয়ী আইজল এফসি-তে ক’জন তারকা ফুটবলার ছিলেন! সেই জায়গায় তো দুই প্রধানে ছড়াছড়ি ছিল তারকাদের! কী হল! দুই আর তিন নম্বর নিয়ে ক্ষান্ত থাকতে হল। তবে ইস্টবেঙ্গলের বাড়তি সুবিধা খালিদ জামিলের মতো কোচ আর গার্সিয়ার মতো ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর পেয়েছে। মোহনবগানের সুবিধা সঞ্জয় সেনের কোচ আছেন। যিনি গত কয়েক বছর ধরেই সবুজমেরুনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।