দেবক বন্দ্যোপাধ্যায় :
বাদুড়িয়া কাণ্ডের রেশ ধরে এবার ডেরেক ও ব্রায়েনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাল তাঁর নিজের দলেরই একটি অংশ। নাবালক শৌভিককে গ্রেফতার করা হলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত হামলাকারীদের টিকিটি ছুঁতে পারেনি। এই নিয়ে রাগে ফুঁসছে বিজেপি। শৌভিকের মুক্তির দাবিতে জনমত তৈরি করার জন্য ফেসবুকে একটি গ্রুপও খোলা হয়েছে। এই প্রকার আবহে ডেরেকের নিজের দলেরই একটি অত্যন্ত শক্তিশালী অংশ আঙ্গুল তুলল তাঁর দিকেই। গত বছর এপ্রিলে ডেরেকের একটি পোস্ট বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক লাভ কুড়োতে ডেরেক এই পোস্ট করেছিলেন বলেই মনে করা হয়। কি ছিল সেই পোস্ট? ডেরেক মোট ছ’টি ছবি পোস্ট করেছিলেন। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সিপিএম নেতা প্রকাশ কারাতকে নিজের হাতে করে মিষ্টি খাইয়ে দিচ্ছেন। এই পোস্টটির পরেই হইচই শুরু হয়ে গেছিল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাম ও বিজেপির সখ্যতা দেখিয়ে রাজনৈতিক লাভ তোলার চেষ্টা করেছিলেন ডেরেক। এইরকম অভিযোগই তখন তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল। বাদুড়িয়া কাণ্ডে একজন নাবালক গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে একবছর আগের এই ঘটনাকে সামনে নিয়ে আসছে তৃণমূলেরই একাংশ।
তাঁদের বক্তব্য ছবি ফটোশপ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার কাজটি তো ডেরেকও করেছিলেন। সেখানে ধর্ম বিশ্বাস জড়িয়ে না থাকলেও দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মান জড়িয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী কোনও দলের নয়, দেশের। এভাবেই ডেরেকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন দলের একজন বড় নেতার অতি ঘনিষ্ঠ এক নেতা। তাঁর এই বক্তব্যে ওই বড় নেতারও সায় আছে বলে দলের অনেকের ধারণা। ডেরেক জানিয়েছেন, সেই ঘটনা একটা ভুল ছিল। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য তখনই মার্জনা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়ে ছিল। তাঁর কথায়, এটা ক্লোজ্ড চ্যাপটার।
রাজনীতিতে ক্লোজ্ড চ্যাপটার বলে কিছু হয় কী!
হোক বা না হোক আপাতত একুশে জুলাইয়ের আগে তৃণমূলর অন্দরে জট পাকাচ্ছে ডেরেক বিতর্ক।