চ্যানেল হিন্দুস্থান, নিউজ ডেস্ক-
বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (DA) দাবিতে এতদিন বিক্ষোভ চলছিল, লাগাতার আন্দোলন করছিলেন সরকারি চাকুরিজীবীরা। চলছিল অনশন, তাতে অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন অনেকে। সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে ধর্মঘট করার জন্য শোকজও হয়েছেন, কিন্তু এবার বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তারা।
অবশেষে অনশন তুলে দিলেন আন্দোলনকারীরা, ৪৪ দিনে উঠল অনশন। তবে আন্দোলন তারা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মীরা।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকে লাগাতার আন্দোলনে সরকারি কর্মচারিরা। ৪৪ দিন ধরে তারা অনশনও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাতে আন্দোলনরত এক কর্মী জানান যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন, সেই কারণে অনশন স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে প্রয়োজন পড়লে ফের অনশনে বসবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
আন্দোলনকারী ভাস্কর ঘোষ বলেন, “প্রয়োজন পড়লে ফের আন্দোলনে বসব। আমার সঙ্গে আরও একজন অনশনকারী রয়েছেন তাপস সিংহ। তিনিও তার অনশন আপাতত স্থগিত রেখেছেন। আমাদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে।” তিনি বলেন, “অনেকেই অনশন শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত দু’জন ছিলেন।” ভাস্কর ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, “আমরা শুধুমাত্র আন্দোলনের অভিমূখ ঘোরাচ্ছি। ২৯ তারিখ গণ-অনশন হবে, তবে ওইদিন বার্গার-প্যাটিস খেয়ে ফের অনশন হবে। এতদিন আমরা না খেয়ে অনশন করেছি।”
প্রসঙ্গত, ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারিদের একাংশ। কেন্দ্রের সমহারে ডিএ-র দাবিতে অনড় তারা। বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে রাজ্য সরকারের তিন শতাংশ ডিএ ঘোষণা খুশি করতে পারেনি ডিএ আন্দোলনকারীদের। যার ফলস্বরূপ শহিদ মিনারে কয়েক সপ্তাহ ধরেই ধরনা দিচ্ছেন তারা।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, “আমি অধিকার কাড়ার পক্ষে নই, অধিকার দেওয়ার পক্ষে। যেটা আইনি স্বীকৃত।” রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের কেন্দ্রের হারে DA দেওয়া সম্ভব নয় বলেও সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তার কথায়, “কাজ করবেন রাজ্য সরকারে, আর কেন্দ্রের হারে টাকা দিতে হবে, সেটা চলতে পারে না। রাজ্য রাজ্যের পে কমিশন অনুযায়ী চলে। আমরা ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী টাকা দিয়েছি।”