নিজস্ব সংবাদদাতা:
ঘূর্ণি ঝড় বুলবুলে রাজ্যের বিপুল ক্ষতি হলেও কেন্দ্রের থেকে কানাকড়ি সাহায্য মেলেনি, বিধানসভায় অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা সহ রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলি বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মারণ ঘূর্ণি ঝড় বুলবুলে। ঝড়ের রাতেই আধিকারিকদের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর নিজে হেলিকপ্টারে উড়ে ঘুরে দেখেন এলাকা। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও সড়কপথে গ্রামবাসীদের সঙ্গে দেখা করে তাদের অভাব, অভিযোগ শোনেন। সে সময় বিতর্ক দানা বাঁধে যখন জানা যায় মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিলেও ঝড়ে সর্বোস্ব হারানো বহু মানুষের কাছে নূন্যতম ত্রান পৌঁছয়নি। সেই ঘটনাকে অবশ্য মানতে চায়নি রাজ্য। উল্টে বাবুল রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করা হয়। আর আজ বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, অতবড় প্রকৃতিক বিপর্যয়ের পরেও কেন্দ্রের কোনোরকম সাহায্য পাইনি। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে হেলিকপ্টারে করে এলাকা ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছিল। পাশপাশি প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট পাঠানো হয় কেন্দ্রের কাছে। তারপরও কেন্দ্র সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী আশাবাদী। বলেন, আশা করছি কেন্দ্রীয় সাহায্য পাব। বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরের দিন টুইট করেছিলেন। তবে এখনও অবধি কোনও সাহায্য পাইনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, ১ লক্ষ ৭৮ হাজার মানুষকে রেসকিউ করা হলেও ১৬ জন মারা গিয়েছেন। এছাড়া বিপুল পরিমাণে ধান, সবজি, ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে। ৫ লক্ষ বাড়ি ভেঙেছে। বলেন, বাংলা আবাস যোজনায় যাদের বাড়ি ভেঙেছে তাদের বাড়ি করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের অর্থ দফতর ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সাহায্যের জন্য ১২১৬ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমতি দিয়েছে। ৪০ হাজার হ্যারিকেন বিলি করা হয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে এমন ছাত্রছাত্রী যে পরিবারগুলিতে রয়েছে তাদের ৫ লিটার করে কেরোসিন তেল দেওয়া হয়েছে।