নীল বণিক :
একদিকে সিবিআই আর ইডির ষাঁড়াশি চাপ। চাপ, সারদা আর নারদার। তদন্তের জুজু দেখিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে দমিয়ে রাখতে চাইছে মোদি সরকার। এমনটাই দাবি তৃণমূলের। সারদা বা নারদা কাণ্ডে একের পর এক মন্ত্রী আর সাংসদের নাম উঠে এসেছে। চাপে পড়ে প্রায় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার উপদ্রব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই ঢাল দিয়ে পরিস্থিতি ঠেকাতে রাজ্য সরকার এক ধাপ এগিয়ে ছেড়ে দিল সিআইডি জুজু। একেবারে ডোড়া নোটিশ তিন বিজেপি নেতা-নেত্রীকে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কেলেঙ্কারির জন্য বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যকে নোটিশ পাঠাল সিআইডি। আবার এই নোটিশের চব্বিশ ঘন্টা পার না হতেই জলপাইগুড়ি শিশু চুরি কান্ডে নোটিশ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীও এবং রাজ্য সভার সাংসদ রুপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। শিশু পাচার কান্ডে নাম উঠে এসেছিল কৈলাস বিজয়বর্গীওর। জলপাইগুড়ি শিশু চুরি কান্ডে সিআইডির নোটিশ নিয়ে কৈলাস বিজযবর্গীও বলেন, “চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। আইনি পরামর্শ নেব। সিআইডির সঙ্গে দেখাও করতে যাব। তার আগে অবশ্যই দলের সঙ্গে কথা বলবো আমি”। এ প্রসঙ্গে রুপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “মমতার সিআইডিকে আইনি পথেই জবাব দেব। সিআইডির মুখোশ আমি আইনের রাস্তাতেই খুলবো”।
অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ বলেন, “আগে দেখি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তদন্তে সিআইডি কি ভূমিকা নেয়। তারপর আমরা দলের তরফ থেকে এই নিয়ে যা বলার বলব”। তবে দলের প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যের পাশে রাজ্য বিজেপি আছে বলে জানান তিনি।
