নিজস্ব প্রতিনিধি:
বলিউড কুইন কঙ্গনা রানাওয়াত এখন রানি লক্ষ্মী বাঈ। ছবির নাম ‘মণিকর্ণিকা’। শুটিং চলছিল হায়দরাবাদে। দৃশ্যায়ন হচ্ছিল যুদ্ধের। কঙ্গনার সহ অভিনেতা নীহার পান্ড্য। দু’জনের হাতেই তলোয়ার। জমে উঠেছে তলোয়ার যুদ্ধ। কঙ্গনার মাথা লক্ষ্য করে তলোয়ার চালালেন নীহার। তলোয়ার গিয়ে পড়ল সোজা কঙ্গনার কপালে! সামান্য সময়ের ভুলে কঙ্গনা মাথা নামাতে ভুল করলেন। ব্যস, তাতেই এই বিপত্তি!
দুই ভুরুর মাঝে লেগেছে। সঙ্গেসঙ্গে বিশাল ক্ষত। ঝরঝর করে রক্ত পড়ছে। রক্তারক্তি কাণ্ড। সেটের সকলেই চুপ! কারওর মুখে কথা সরছে না! কেউ একজন বুদ্ধি করে কঙ্গনাকে গাড়ি তুলে সোজা হায়দরাবাদের বিশাল এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করালেন। কঙ্গনাকে পাঠানো হল আইসিসিইউ-তে। ১৫ টা সেলাই পড়ল কঙ্গনার ক্ষতস্থানে! ডাক্তারেরা জানালেন, সাতদিন অবজারভেশনে রাখতে হবে। তাই সাতদিনের আগে ছাড়া যাবে না কঙ্গনাকে। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে স্থিতিশীল আছেন কঙ্গনা।
কঙ্গনার কাছে লক্ষ্মী বাঈয়ের ভূমিকায় অভিনয় করা হল একটা চ্যালেঞ্জ। কেতন মেহতার লক্ষ্মী বাঈ করার জন্য তিন বছর ওয়ার্কশপ করেছেন কঙ্গনা। তাঁর এই কাণ্ড দেখে অবাক হয়েছিল বলিউড! কিন্তু আরও অবাক হলেন কেতন! কেতনের লক্ষ্মী বাঈ ছেড়ে গেলেন কৃষ-এর লক্ষ্মী বাঈ করতে। তেলেগু পরিচালক কৃষের এই ছবির নাম ‘মণিকর্ণিকা’। কেতন মেহতার আন্তর্জাতিক প্রজেক্ট ছেড়ে হঠাৎ এই ছবিটা করতে গেলেন কেন তিনি! বলিউডের কঙ্গনা বিরোধীরা বলছেন, কেতনের ছবিটা তো হবে ইংরেজিতে। তাই ভাষা সমস্যা হতে পারে বলে কেতনের ছবি ছাড়লেন কঙ্গনা। এ ব্যাপারে বলিউড কুইনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
‘মণিকর্ণিকা’র শুটিংয়ে এমন কাণ্ড হবে ভাবতেও পারেননি কঙ্গনার সহ অভিনেতা। নিজে অপরাধবোধে ভুগছেন নীহার। তবে ওই অবস্থাতেই কঙ্গনা আশ্বস্ত করেছেন তাঁকে। কঙ্গনাকে প্রথমেই ডামি নিতে বলেছিলেন পরিচালক। কিন্তু পাত্তা দেননি পরিচালকের কথায়। বিশ্বাসযোগ্যতা আনার জন্যে নিজেই লড়তে আসরে নেমেছিলেন অর্থাৎ শুটিংয়ে ।