ঈষানিকা ভোরাই :
সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডুরা গারদের পিছনে থাকলে কী হবে! তাঁদেরই নয়া অবতার এখন চষে বেড়াচ্ছে রাজ্যের জেলায় জেলায়!
রাজ্যে ফের সক্রিয় হয়ে উঠছে ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা। তবে ছদ্মবেশে। এরা এখন আর টাকার বদলে টাকা নয়, পরিবর্তে বেড়াতে যাওয়া, গয়না কেনা ইত্যাদি প্রলোভনের ফাঁদ পেতেছে। তবে কলকাতা নয়, আমানতকারী খুঁজতে এই সংস্থাগুলি তাদের জাল বিস্তার করছে দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি, আসানসোল বর্ধমানের মত শহরগুলিতে।
এই ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থাগুলি যাতে আবার সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করতে না পারে তার জন্য এখন থেকেই আটঘাট বেঁধে নামছে রাজ্য সরকার। এই জন্য প্রতিটি জেলায় একজন করে ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার কে নোডাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে এবং তাঁকে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।
আবার কেন্দ্রীয়ভাবে বা রাজ্যস্তরে মুখ্যসচিবের পৌরহিত্যে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব ও ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এইসব সংস্থাগুলি তাদের কাজকর্ম সাবেক চিটফান্ডগুলোর মত রাখেনি। উল্টে আমানতকারীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় তারা একটু অন্য পন্থা অবলম্বন করছে। এইসব ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থাগুলি আমানতকারীর কাছ থেকে আমানত হিসাবে টাকা নেওয়ার সময় প্রতিদানে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলছে না। বরং তাদের ‘অফার’ থাকছে যে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে টাকার পরিবর্তে সোনার গহনা, বাড়ি তৈরির সরঞ্জাম বা বেড়াতে যাওয়ার ব্যয়ভার বহনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এই সংস্থাগুলি।
স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে খবর নতুন মোড়কে আসা এই অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির সক্রিয়তা অধিকমাত্রায় চোখে পড়ছে ৫ থেকে ৬ টি জেলাতে । জেলাগুলি হল, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার প্রভৃতি।
মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র দফতর, ক্রেতা সুরক্ষা দফতর ও ব্যাংক সহ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে রাজ্যস্তরে সমন্বয় কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এই সমন্বয় কমিটি প্রতি মাসে একবার করে বৈঠক করবে।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan