Breaking News
Home / TRENDING / Exclusive – সঙ্ঘ-বিজেপি-রাজ্যপালকে বাদুড়িয়াকাণ্ডে দায়ি করে খবর, অভিযোগ নিল না মমতার পুলিশ

Exclusive – সঙ্ঘ-বিজেপি-রাজ্যপালকে বাদুড়িয়াকাণ্ডে দায়ি করে খবর, অভিযোগ নিল না মমতার পুলিশ

দেবক বন্দ্যোপাধ্যায়  :

বাদুড়িয়াকাণ্ডের জন্য সরাসরি ভাবে দায়ি বিজেপি ও আরএসএস। বাদুড়িয়াকাণ্ড নিয়ন্ত্রিত হয়েছে কলকাতার রাজভবন থেকে। না কোনও গোয়েন্দা রিপোর্ট নয়। আষাড়ে গল্প? তাও নয়। এটি একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট। এই রিপোর্ট গোচরে আসার পর আইনের রাস্তা বেছে নেওয়াই শ্রেয় মনে করেছে বিজেপি। সে পথেও বাধা। তাদের এফআইআর নিল না জোড়াসাঁকো থানা।
বিযয়টা একটু খুলে বলা দরকার। কিছুদিন আগে ফেসবুকের একটি পোস্ট অনেকেরই চোখে পড়ে। যেখানে লেখা হয়েছে ক্যারাভান নামক একটি ইংরাজি পোর্টালে অমরেশ মিশ্র নামে একজন সাংবাদিক লিখেছেন যে বাদুড়িয়াকাণ্ডের পিছনে রয়েছে সঙ্ঘ ও বিজেপির সরাসরি অংশগ্রহণ। তাদের সাইবার টিম বাদুড়িয়ায় বসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। হামলাকারীদের বিহার থেকে ভাড়া করে নিয়ে এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বিজেপি-আরএসএস। এমন কথাও আছে এই রিপোর্টে। বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ নতুন নয়। তবে অমরেশের এই রিপোর্ট এখানেই থেমে থাকেনি। রিপোর্টে বলা হয়েছে রাজভবন থেকে পুরো ঘটনাটি নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। এত বড় অভিযোগের সমর্থনে অমরেশের যুক্তি, ‘রাহুল সিংহ বলেছেন রাজ্যপাল মোদির সৈনিক।’ রাহুলের এই কথার ওপর ভিত্তি করে রাজভবন সম্পর্কে কীভাবে এমন কথা লেখা যায় তা বুঝতে পারছেন না অনেক সাংবাদিকই। অমরেশের রিপোর্টটি সাংবাদিক-সুলভ নয় বলেই মনে করছেন তাঁরা। কে এই অমরেশ? ফেসবুকে ক্যারাভানে প্রকাশিত খবরটির বাংলা অনুবাদ যিনি প্রচার করেছেন সেই প্রসুন ভৌমিক লিখেছেন অমরেশ সাংবাদিক ও চিত্রপরিচালক। গুগলেও সেই পরিচয় রয়েছে অমরেশের। তিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তবে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে সেখানে এই পরিচয়ের কোনও নামী সাংবাদিক অন্তত নেই । যে পোর্টালে তিনি এই খবর লিখেছেন, মজার কথা সেই পোর্টাল নিজেরাই জানাচ্ছে প্রকাশিত কোনও খবরের সত্য-মিথ্যার দায় তাদের নয়। যদিও অমরেশের খবরটি তারা বড় খবর হিসাবেই ছেপেছে।
ক্যারাভানের ঘোষিত অবস্থান হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ানো। সম্পাদক নিজেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে বেশির ভাগ মধ্য প্রাচ্যের বাসিন্দা। এমন পৃষ্ঠপোষকও আছেন যাঁর নামে আর্থিক বেনিয়মের মামলাও হয়েছিল।

এই খবরটিতে তাদের দলের সম্মানহানি হচ্ছে ও আরও কিছু অভিযোগ নিয়ে রাজ্য বিজেপির সাধারন সম্পাদিকা শণিবার, জোড়াসাঁকো থানায় এফআইআর করতে যায়। থানা তা নিতে অস্বীকার করে। যদিও এফআইআর নিতে যে কোনও থানা আইনত বাধ্য। অভিযোগ না নেওয়ায় রাজ্য বিজেপি কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছে ।
রাজভবনও ক্যারাভানের এই খবরটি সম্পর্কে অবহিত। তবে রাজভবনের এই ব্যাপারে কি মতামত তা এখনও জানা যায়নি।

আরও পড়ুন :-

ধুতিকাণ্ডঃ গোয়েঙ্কাদের দেশবিরোধী বললেন সৌগত, সোমেন বললেন, ইংরেজের পা চাটা

Spread the love

Check Also

পুলিশ ডায়রির আগেই পোস্টমর্টেম! দাহ করার পর এফআইআর! বিস্মিত সুপ্রিম কোর্ট

মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ-হত্যার তদন্তে …

চোরেদের মন্ত্রীসভা… কেন বলেছিলেন বাঙালিয়ানার প্রতীক

ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস : আজ বাংলার এবং বাঙালির রাজনীতির এক মহিরুহ চলে গেলেন। শ্রী বুদ্ধদেব …

আদবানি-সখ্যে সংকোচহীন ছিলেন বুদ্ধ

জয়ন্ত ঘোষাল : লালকৃষ্ণ আদবানির বাড়িতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মধ্যাহ্ন ভোজে আসবেন। বাঙালি অতিথির আপ্যায়নে আদবানি-জায়া …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *