নীল রায়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) সমাবর্তনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। টুইটের তিনি লেখেন, “শিক্ষাব্যবস্থাও একদম ভেঙে পড়েছে। মুষ্টিমেয় কয়েকজন আগুন নিয়ে খেলছেন। আর এখানকার উপাচার্য কোনও কাজ করছেন না। তিনি রিমোট কন্ট্রোলে পরিচালিত হচ্ছেন। ফলে পড়ুয়াদের নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছি। তবে এই ঘটনার জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। আজকের ঘটনায় আমি ব্যথিত হয়েছি। আন্দোলনের নামে আমাকে পরিকল্পিতভাবে আটকে রাখা হয়েছে। আসলে এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থার ডিএনএ (DNA) পচে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের জন্যই এটা হয়েছে। সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে এই ঘটনায় আমি খুব চিন্তিত।”
এদিন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট দিয়ে তাঁর গাড়ি ভিতরে প্রবেশ করতেই ঘিরে ধরেন তৃণমূলের (TMC) কর্মী সংগঠনের সদস্যরা। তারপর রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকে। বাধ্য হয়ে ঘেরাও অবস্থাতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাশকে ফোন করেন রাজ্যপাল। রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে গোটা ঘটনাটি খুলে বলেন তাঁকে। গাড়ির কাছে এসে পরিস্থিতি সামলানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু, উপাচার্য জানান, তাঁকেও ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। এরপরই গাড়িবন্দি অবস্থায় পরপর টুইট করে উপাচার্য ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি একদম ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন। একমাত্র শেষ টুইটটিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ট্যাগ করেন তিনি। রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে যেতেই শুরু হয় বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান।