নীল বণিক :
পুনরায় বার-এ নাচ-গান চালু করার দাবিতে পথে নামলেন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের সমস্ত বারের নর্তকী, গায়ক-গায়িকা এবং কর্মীরা। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে, গত দু’মাস ধরে প্রতিটি বারে নাচ-গান বন্ধ। ফলে ৪ হাজার লোক বেকার হয়ে পড়েছেন। তাঁদের দাবি অবিলম্বে বার-এ পুনরায় নাচ-গান চালু করতে হবে।
অনেকেই বলছেন, আর্থিক সমস্যায় পড়ে তাঁদের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। ব্যারাকপুরে রয়েছে মোট ২৭টি বার। আর প্রতিটা বারেরই এক অবস্থা। নাচ-গান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বারের ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট প্রশাসনের তরফে অনুমতিপত্র পুনর্নবীকরণ বন্ধ করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় সড়ক থেকে ৫০০ মিটার দূরে পানশালা ও দেশি-বিদেশি পানীয়ের দোকানগুলো সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর এরপর থেকেই পূনর্নবীকরণের কাজ বন্ধ।
যদিও কমিশনারেট সূত্রের খবর কোনও বার বন্ধ করা হয়নি। শুধুমাত্র কোনও নিয়মশৃঙ্খলা না মেনে যাঁরা পানশালায় নাচ-গানের আসর বসাতেন তাঁদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। মেয়েদের অশ্লীল নাচ, মদ্যপ অবস্থায় অশালীন ব্যবহার ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। তার আড়ালে চলত দেহব্যবসা।
এছাড়া পানশালায় যাওয়া গ্রাহকদের বাউন্সার দিয়ে মারধর করা হত। সবসময় থানায় অভিযোগ না জানালেও এদের ব্যবহার গ্রাহকদের প্রতি মারমুখী রূপ নিত।
তবে যে-ক’দিন পানশালাগুলো বন্ধ রয়েছে সে ক’দিন পথ দুর্ঘটনা কমেছে। তাই প্রশাসন সুস্থতার দিকে তাকিয়ে পুনর্নবীকরণ বন্ধ রেখেছে।
বার ডান্সারদের নিয়ে মধুর ভান্ডারকার একটি ছবি তুলে ধরেছিলেন দর্শকদের কাছে। সেই ছবি যতটা আনন্দ দিয়েছিল, ততটাই মনকে ব্যথিত করে তুলেছিল। তাই আমরা জানি আলোর নিচে কতটা অন্ধকারে বাস করতে হয় তাঁদের। সেই অন্ধকার জগতের নয়, অর্থের।