চ্যানেল হিন্দুস্থান , নিউস ডেস্ক-
বকেয়া ‘DA’ দাবিতে আন্দোলন ক্রমশ বাড়ছে, গত দু দিন ধরে যে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল, তা সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। এই আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াতে ও কর্মবিরতিতে কর্মচারীদের হেনস্তার প্রতিবাদে আজ ধিক্কার দিবস ডাক দিল, রাজ্য DA আন্দোলনকারীরা।
শুধু তাই নয়, আগামী ৯ মার্চ সারা রাজ্য জুড়ে সমস্ত সরকারি দফতরে ধর্মঘটের ডাক দিলেন আন্দোলনকারীরা। শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতাল ও কিছু জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারি কর্মীদের যৌথমঞ্চের তরফ থেকে। অন্যদিকে, গত দুদিনের এই কর্মসূচিতে বেশ কিছু জায়গায় সরকার আন্দোলনকারীদের ওপর অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। তার প্রতিবাদে আগামিকাল, বুধবার সব সরকারি দফতরে ধিক্কার কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। টিফিনের সময় কর্মীরা ব্যাচ পরে ধিক্কার কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
আজ ১৩ দিনে পড়ল সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের অনশন, গতকাল আর একজন অনশনকারী অনশন শুরু করেছেন, তিনি হলেন ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আগামী ৯ মার্চ দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে। নাহলে বুধবারই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হত বলে উল্লেখ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না, তাই ধর্মঘট ডাকতে হচ্ছে।আমরা ২৭ দিন ধরে বসে আছি,১৩ দিন ধরে অনশন চলছে। তারপরও সরকারের তরফ থেকে কোনও পদক্ষেপ দেখিনি।
এই ধর্মঘট প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘৩৪ বছর ধরে আমরা দেখেছি, বনধ, ধর্মঘট করে কীভাবে কর্মসংস্কৃতি নষ্ট করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর বনধের সংস্কৃতি বন্ধ হয়েছে। কেন্দ্রের অসহযোগিতা, কোভিড, সবকিছু সত্ত্বেও বাংলায় ৪০ শতাংশ নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। রাজ্য সরকার সবসময়েই সরকারি কর্মীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। কেন্দ্র লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা আটকে রেখেছে। বনধ, হরতাল করে পুরনো কালো দিনে ফিরে না গিয়ে, সবার উচিত সমস্বরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হওয়া। সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, কেন্দ্র টাকাগুলো দিলেই সব পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হবে।’