ঈষানিকা ভোরাই
মুর্শিদাবাদের ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার পর অবশেষে নড়েচড়ে বসল রাজ্য প্রশাসন। ৪৩ টি প্রাণের অকালে ঝরে যাওয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে অন্যতম, চলন্ত বাসের চালক যদি মোবাইলে কথা বলে তাহলে তার লাইসেন্স খারিজ করা যেমন আছে, তেমনই রাজ্যের সমস্ত সেতু ও ফ্লাইওভার গুলিতে ‘বিপর্যয় প্রতিবন্ধক রেলিং’ বা ‘ক্র্যাশ বেরিয়ার’ লাগানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। তবে দৌলতাবাদ দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আঙ্গুল উঠেছিল রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের দিকে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ ছিল দুর্ঘটনা ঘটার প্রায় তিন ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। সঠিক সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের অভাব থাকায় উদ্ধার কাজ শুরু করতে করতে কেটে যায় আরও ঘন্টাদুয়েক। সূত্রের খবর, এবার এই সমস্যা মেটানোর জন্যই “আপৎমিত্র” নামে একটি নতুন প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি জেলায় ২০০ জন করে যুবক যুবতীকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এই ধরনের যে কোনও বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য। দেওয়া হবে অত্যাধুনিক সরঞ্জামও। আপাতত দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দিয়েই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। পরবর্তীকালে এ রাজ্যের সব জেলাতেই এই ব্যবস্থা কায়েম করা হবে।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan