ঈষানিকা ভোরাই :
দলের মহাসচিব বাক্ সংযমের পরামর্শ দিয়েছিলেন। করেছিলেন মৃদু তিরস্কার। আবার স্বয়ং দলনেত্রীও পুরুলিয়ার এক সভা থেকে সংযত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন অনুব্রত মন্ডলকে। বলেছিলেন তিনি ‘শেষবারের মত’ বলছেন, কথায় লাগাম দিতে। নেত্রীর ‘শেষবারের’ ওয়ার্নিংও কী শুনেছিলেন কেষ্ট!
তবে ‘ভোট বড় বালাই’! তাই সেই দলনেত্রীই বীরভূমে গিয়ে সেই অনুব্রত মণ্ডলের মাথায় বরাভয়ের হাত রাখলেন। আসলে মমতাও খুব ভালো করে জানেন যে বীরভূমের মত জেলায় কেষ্টকে ছাড়া পাড়ার নির্বাচনে জেতাও যথেষ্ট কষ্টকর। রাজ্যে যে কয়েকটি জেলায় বিজেপি ২০১৬ সালের আগে থেকেই কিছুটা সংগঠন তৈরি করতে পেরেছে, বীরভূম তার মধ্যে অন্যতম। তৃণমূলের সভাপতির চোখে চোখ রেখে কথা বলা হোক বা আন্দোলন করা; বীরভূম জেলা কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য বিজেপিকে পথ দেখাচ্ছে। সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায় এই কিছুদিন আগে বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে হুমকি দিয়েছিলেন আগামী পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূমের জেলা পরিষদ দখল করার। প্রত্যুত্তরে অনুব্রত বলেছিলেন, ‘এমন হলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো।’ ফলে এমন অবস্থায় সেই বীরভূমে গিয়ে অনুব্রতর পাশে না দাঁড়িয়ে উপায়ও ছিল না তৃণমূল নেত্রীর। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan