Breaking News
Home / TRENDING / মমতার পুলিশের লাঠি খেয়ে অধিকারের লড়াই চালাচ্ছে আলিয়ার পড়ুয়ারা, তবু নিরুত্তাপ উপাচার্য

মমতার পুলিশের লাঠি খেয়ে অধিকারের লড়াই চালাচ্ছে আলিয়ার পড়ুয়ারা, তবু নিরুত্তাপ উপাচার্য

মধুমন্তী  
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা শুরু একবছর আগেই। কার্যনির্বাহী কাউন্সিলে ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব পদ নিয়ে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। এখনও তাঁদের আন্দোলনের রেশ চললেও উপাচার্য কোনও আলচনায় বসতে চাইছেন না পড়ুয়াদের সঙ্গে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মিনারুল ইসলামের কথায়, “এর সূত্রপাত ২০১৬ সালে ৪২ দিনের আন্দোলন দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী কাউন্সিলের যে গঠন রয়েছে তা আমরা মানছি না। সেই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং-এর রিপোর্ট যত দ্রুত সম্ভব প্রকাশ করতে হবে।”
কার্যনির্বাহী কাউন্সিল-এর যে গঠন বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে তা নিয়েই মূলত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের আন্দোলন। হিসেব মতো কার্যনির্বাহী কাউন্সিলে থাকে ছাত্রদের প্রতিনিধি পদ। তবে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী কাউন্সিলে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কোনও পদ নেই। তাই এই কার্যনির্বাহী কাউন্সিলের রিপোর্ট অর্থাৎ ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ রিপোর্ট পড়ুয়াদের হাতে দিতে হবে। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন পাঠনেও চরম গাফিলতি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে, এমনই দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের।
বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী গত শুক্রবার কার্যনির্বাহী কাউন্সিল-এর মেম্বারদের সঙ্গে কথা বলতে চান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। প্রথমে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি। তবে পরে পুলিশের তৎপরতায় মিটিং অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হয়ে যায়। এমনই দাবি করেছেন ছাত্র মিনারুল ইসলাম।
মিনারুল আরও জানান, “সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে পড়ুয়াদের আটকে দেয় পুলিশ। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, ছাত্রছাত্রীদের মাটিতে ফেলে দেয় পুলিশ। শুধু তাই নয় কতৃপক্ষ নির্দেশে পড়ুয়াদের ওপর লাঠি চার্জ শুরু করে পুলিশ সঙ্গে কিছু বহিরাগত সামিল হয় লাঠি চার্জে। ৯ জন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একজনকে প্রিজন ভ্যান থেকে ফেলেও দেওয়া হয়েছিল,পরে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও আরও দুই পড়ুয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।” এরকমই একাধিক ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।


তবে যাই হোক না কেন আন্দোলন থেকে সরে আসছেন না কোনও ছাত্রছাত্রী। এই ঘটনার পর আরও দানা বাঁধছে আন্দোলনের কর্মসুচী, দাবি পড়ুয়াদের।
এদিন মিনারুল আরও জানান, “সেদিনের সেই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আগামিদিনে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং-এর রিপোর্ট সামনে আনা হোক।”
অন্যদিকে উপাচার্য প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে মিনারুল জানান, “এত কিছু ঘটে যাওয়ার পরও উপাচার্য আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হচ্ছে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে। আমরা চাই উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসতে।”
তবে এদিন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে চাওয়া হলে উপাচার্যের দফতর থেকে কোনও কথা বলতে চাননি কেউ।
সেইসঙ্গে পিঠ বাঁচাতে আলোচনায় বসতে চাইছেন না উপাচার্য, এমন বক্তব্যও উঠে আসছে পড়ুয়াদের তরফ থেকে।

 

লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন

বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

Spread the love

Check Also

Big Breaking: হুমায়ুনকে ওয়েসির ‘ফিলার,’ কী উত্তর দিলেন তৃণমূলের বিধায়ক

দেবক বন্দ্যোপাধ্যায় হুমায়ুনকে ওয়েসির ফোন! দল তাঁকে শো-কজ করেছে। তিনি সেই শো-কজের উত্তরও দিয়েছেন। তাতেও …

রাহুলের পাইলট প্রোজেক্ট, মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসে আধিপত্য হারাতে পারেন অধীর

দেবক বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে রাহুল গান্ধির নতুন উদ্যোগে মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস রাজনীতিতে খর্ব হতে পারে অধীর …

আমি আসছি! নাম না করে শুভেন্দুকে শাসালেন আনিসুর

চ্যানেল হিন্দুস্থান, নিউজ ডেস্ক: নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারিকে শাসালেন আনিসুর রহমান। একদা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *