দেবক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক পারছেন। এখনও পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই পারছেন।
রাজনীতি কে ‘ইউনিফর্ম’ থেকে বার করে আনতে পারছেন!
এ রাজ্যে একদা রাজনীতির পোশাক মানেই ছিল সাদা ধুতি পাঞ্জাবি। কংগ্রেস রাজনীতির তো বটেই, বামেরাও ছিলেন সমান তালে। এর একটা বড় কারন প্রিয়-সুব্রত-সোমেন রা ধুতিতে সচ্ছন্দ ছিলেন এবং সেই উত্তম যুগে কলেজ পড়ুয়াদের স্বাভাবিক পোশাক ছিল ধুতি আর শার্ট। উত্তমের প্রেম হোক কিংবা ফুটবল, সবই ওই ধুতির মালকোচা সমেত।
তবে বিখ্যাত কংগ্রেস ত্রয়ী কোট-প্যান্ট পরতেন না তা নয়। বেড়াতে গিয়ে কত ছবি তাঁরা তুলেছেন এই বিদেশি পোশাকে! কিন্তু রাজনীতির ময়দানে এলেই তাঁরা হয়ে উঠতেন সচেতন ধুতি পরিহিত।
তাঁদের পরবর্তী প্রজন্ম ধুতি পাঞ্জাবি ছাড়লেও পাজামা পাঞ্জাবি তে শিফট করে গেলেন। কংগ্রেসী, তৃণমূল কংগ্রেসীদের সঙ্গে বামেরাও। বাড়তি বলতে বামেদের কাঁধে একটি করে ঝোলা।
তবে একেবারেই কেউ প্যান্ট শার্ট পরতেন না বা পরেন না লিখলে মিথ্যে বলা হবে। তবে মোটের ওপর রাজনীতির পোশাক চিত্রটি শাদা।
শাদা পাজামা পাঞ্জাবি আর পায়ে স্নিকার, এটাই হয়ে উঠছিল তৃণমূলের ইউনিফর্ম। বাধ সাধলেন অভিষেক। ব্রিগেডের সভায় সবুজ পাঞ্জাবি পরিহিত একদল যুবক কে দেখা যেতে লাগল, লোকে বলল, এরা অভিষেকের অনুগামী।
দলের মধ্যে বা নিজের মধ্যে পোশাক বিপ্লব চালিয়ে যেতে লাগলেন অভিষেক।
রাজনীতি করতে গেলে আর যা কিছু লাগুক, নির্দিষ্ট পোশাকের দরকার যে পড়ে না, তা বারংবার বুঝিয়ে দিচ্ছেন অভিষেক। জিনস আর টি-শার্টে তাঁর রাজনৈতিক আবেদনে কোনো খামতি হচ্ছে না।
বরং একটি বিতর্ক সভার বিষয় তৈরি করে দিচ্ছেন তিনি।
‘সভার মতে, রাজনীতি করতে কোনো নির্দিষ্ট পোশাক লাগে না।’