নীল রায়
বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরার। সোমবার তিনি নিজের ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট করেন। একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করে অনুপম হাজরা লেখেন, “চেক নিন মিমি চক্রবর্তীকে ভোট দিন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের নিদান ” – অনুপমের অভিযোগ, আজ সোমবার নিয়ম ভেঙ্গে বেলা ১২ টায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভোগালি ২ জি পি তে কৃষকদের মধ্যে চেক বিতরণ করেন পঞ্চায়েত প্রধান মোদাসের হোসেন। সেখানে তিনি এই বিতর্কিত বক্তব্য রাখেন !” যাদবপুরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর জন্য ভোট চেয়ে সরকারি চেক বিলি করার অভিযোগ ওঠায় শোরগোল ভোটের বাজারে। বিতর্কিত ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, চেক বিলির সঙ্গে সঙ্গে কৃষকদের যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীকে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন পঞ্চায়েত প্রধান মোদাসের হোসেন। তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট না দিলে আগামী দিনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে ওই ভিডিওটিতে।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ভাঙড় ব্লকের ভোগালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই ভিডিও নিয়েই সরব হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অনুপম। অভিযোগ, ভোটের দিন বুথের ভিতরে যাতে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া অন্য কোনও বিরোধী দলের প্রার্থী না বসতে পারেন সে বিষয়েও হুমকি দেন ওই তৃণমূল নেতা।
অভিযোগ, চেক বিলির সময়ে কৃষকদের ভোটার পরিচয় পত্রের ফটোকপিও রেখে দেন তিনি। চেক তৃণমূলের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে, ফলে লোকসভার ভোটটিও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীকেই দিতে হবে বলে প্রকাশ্যেই নিদান দেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান। মোদাসের হোসেনের এই বক্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা বলেন, “সারা রাজ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস এই ভাবে সাধারণ মানুষকে হুমকি দিচ্ছে। সরকারি প্রকল্পের টাকা কীভাবে ভোটের আগে বিলি করা হচ্ছে? এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। এত উন্নয়ন করেছেন তো সরকারি প্রকল্পের টাকা দিয়ে কেন ভোট চাইতে হচ্ছে? আসলে তৃণমূল বুঝে গেছে এবার আর তাদের কেউ ভোট দেবে না সেই কারণে এইসব করে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে কমিশনে নিশ্চয়ই অভিযোগ জানাবো।”