Breaking News
Home / TRENDING / শুধু কেরল নয়, অনেক রাজ্যেই গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে দাবি করল আইএমএ

শুধু কেরল নয়, অনেক রাজ্যেই গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে দাবি করল আইএমএ

চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো:

ভারতে দিন দিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। তারপরেও ভারতে এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি বলে দাবি করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি করলেও, ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA) মতে, ভারতের কিছু কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এবং পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। 

গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে ৩৪ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে। একে ‘তাৎপর্যপূর্ণ বৃদ্ধি’ বলে ব্যাখ্যা করেছে আইএমএ। আইএমএ-র চেয়ারপার্সন ডঃ ভিকে মঙ্গা জানিয়েছেন, “প্রত্যেকদিন আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এটা দেশের জন্য খুবই খারাপ পরিস্থিতি। এইভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। সামগ্রিকভাবে এটি এখন গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। যা একটা অশনি সংকেত। এটা এখন গোষ্ঠী সংক্রমণের দিকে যাচ্ছে।” কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক গোষ্ঠী সংক্রমণের দাবি উড়িয়ে দিলেও এই সংস্থাটি তা মানতে নারাজ। তবে কেরল সরকার ইতিমধ্যে সে রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। 

বিশ্বে করোনা আক্রান্তে ভারত আমেরিকা ও ব্রাজিলের পরে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। শনিবারের স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুযায়ী ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭১৬। মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ২৭৩ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৫১ জন। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডঃ মঙ্গা বলেন, ভারতের শহর ও গ্রাম দুই জায়গায়তেই করোনা প্রবেশ করেছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই কঠিন। তিনি আরও বলেন, “দিল্লিতে আমরা একটা সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। কিন্তু দেশের অন্য অংশ যেমন মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, গোয়া ও মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে কিভাবে সম্ভব? কারণ সেখানে গ্রাম ও শহর দুই জায়গায়ই ছড়িয়ে পড়েছে। আর সব জায়গায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সমান উন্নত নয়।”

তবে এই রোগ প্রতিরোধ নিয়ে মুক্তি এখনই মিলবে না বলে মনে করছেন ডঃ মঙ্গা। তাঁর মতে, “এটি এমন একটি ভাইরাস ঘটিত রোগব্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে দুটো বিকল্প রয়েছে। প্রথমত, ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। দ্বিতীয়ত, টিকা নিয়ে আসা। যা নিয়ে কিছুটা অগ্রসর হওয়া গিয়েছে”

Spread the love

Check Also

চোরেদের মন্ত্রীসভা… কেন বলেছিলেন বাঙালিয়ানার প্রতীক

ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস : আজ বাংলার এবং বাঙালির রাজনীতির এক মহিরুহ চলে গেলেন। শ্রী বুদ্ধদেব …

আদবানি-সখ্যে সংকোচহীন ছিলেন বুদ্ধ

জয়ন্ত ঘোষাল : লালকৃষ্ণ আদবানির বাড়িতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মধ্যাহ্ন ভোজে আসবেন। বাঙালি অতিথির আপ্যায়নে আদবানি-জায়া …

নির্মলার কোনও অর্থনৈতিক চিন্তা-ভাবনা নেই

সুমন ভট্টাচার্য এবারের বাজেটটা না গরিবের না মধ্যবিত্তের না ব্যবসায়ীদের কাউকে খুশি করতে পারলো। দেখে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *