নীল বণিক :
কৈলাশের হিমশীতল মস্তিষ্কই মুকুলের বিজেপিতে যাওয়া শেষ পর্যন্ত কুস্তুমাস্তীর্ন করল!
রাজ্য বিজেপির নিউজ-চ্যানেল খ্যাত তাত্ত্বিক নেতা কিংবা একদা বাম ঘনিষ্ঠ, অধুনা আলটপকা মন্তব্যে দলকে সতত বিব্রত করা কেউ দলে মুকুলের আগমনের বিরোধিতা করছিলেন। রাজনীতির বাস্তবতার সঙ্গে যাঁদের সম্পর্ক নেই বলে চলে। অন্তত, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনেকেরই এঁদের সম্পর্কে এমনটাই মূল্যায়ন। এ হেন নেতা-নেত্রীদের বুঝিয়ে ‘আত্মঘাতী’ বিরোধিতা থেকে ক্ষান্ত করেন কৈলাস। কৈলাস নিজেও বারবার বলেছেন, “রাজ্য নেতাদের সম্মতি নিয়ে যা হওয়ার হবে।” শেষ পর্যন্ত সেটাই হল। চলতি সপ্তাহে দলের জোনাল বৈঠকে চারদিন ধরে তিনি এ রাজ্যে ছিলেন। সেই বৈঠকে রাজ্যের রাজ্য নেতাদের তো বটেই জেলা সভাপতিদেরও কৈলাস বিজয়বর্গীয় বোঝান, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কেন মুকুল রায়কে দলে নেওয়া প্রয়োজন।
সূত্রের খবর বুধবার রাতে বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে বসে মুকুলের ব্যাপারে সবাইকে আলাদা আলাদা করে বোঝান কৈলাস। তারপর সব রাজ্য নেতাদের নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই সর্বসম্মত ভাবে দলে মুকুলের যোগদানে সবাই সম্মতি দেন। শুধুমাত্র দলের এক মহিলা মোর্চার রাজ্য সভার সাংসদ ছাড়া । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজ্য নেতার কথাতে সেদিন কৈলাসের ম্যান ম্যানেজমেন্ট দেখে রাজ্য বিজেপির সব নেতাই মুগ্ধ। দলের অন্দরে এখন তাঁকে অনেকেই কেন্দ্রীয় নেতা নয় বরং একজন পাকা ম্যানেজমেন্ট গুরু হিসেবেই দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan