ভাস্কর মান্না:
ভারতীয়দের ঘর ও মন্দির মিলে ২৪০০০ থেকে ২৫০০০ টন সোনা জমা রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ১ ট্রিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭০ লক্ষ কোটি টাকা)। এছাড়া আরবিআইয়ের কাছে ৬১৮ টন সোনা মজুত রয়েছে ।তথ্য দিয়ে এমনই দাবি করলেন ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের প্রধান নির্দেশক সোম সুন্দরম পিআর।
শুক্রবার তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে মোট সোনার ১৫ শতাংশ শুধুমাত্র ভারতীয়দের ঘর ও মন্দিরে রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে ৮১৩৩.৫ টন সোনা রয়েছে। যেখানে ভারতের কাছে এর ৩ গুণের বেশি সোনা রয়েছে। সুন্দরমের মতে, ভারতীয়দের ঘরে ও মন্দিরে যে পরিমাণ সোনা রয়েছে। তা দেশের দু’বছরের বাজেটের থেকেও বেশি। ২০০৯-১০ সালে দেশের বাজেট ছিল ২৭,৮৬,৩৪৯ কোটি টাকা। যেখানে প্রথম ১০০ জন ধনী ভারতীয় কাছে ৩২.১৯ লক্ষ কোটি টাকা রয়েছে। এছাড়া দেশের মানুষের কাছে ৭০ লক্ষ কোটি টাকার সোনা রয়েছে।
এছাড়া সোনার চাহিদার দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। তাঁর মতে, চাহিদার দিক থেকে চীনের পরেই রয়েছে ভারত। আর্থিক মন্দার সময়ও ২০১৯-এর জুন পর্যন্ত যেখানে সারা বিশ্বে সোনার চাহিদা ছিল ৮১৭.৫ টন। সেখানে শুধুমাত্র ভারতেই চাহিদা ছিল ৩৭২.১ টন। দেখা গিয়েছে, ভারতে বিয়ের মরসুমে ৫০ শতাংশেরও বেশি সোনার চাহিদা থাকে। ভারতে প্রতি বিয়ে বাড়িতে গড়ে ২০০ গ্রাম সোনা কেনা হয়। এছাড়া বিভিন্ন উৎসবে সোনার চাহিদা আরও বৃদ্ধি পায়। ধনতেরস ও দীপাবলীতে ভারতে সোনার বাজার উল্লেখযোগ্য ভাবে লক্ষ্য করা যায়। অথচ ভারতে ০.৫ শতাংশের থেকেও কম সোনা উৎপাদন হয়। কিন্তু বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় ভারতীয় বাজারে সোনার চাহিদা ২৫ শতাংশেরও বেশি।
তিনি আরও বলেন, গত দশ বছরের রেকর্ডের দিকে তাকালে দেখা যাবে শুধুমাত্র ভারতেই ৮০০ থেকে ৯০০ টন সোনার চাহিদা ছিল। আগামী ৫ থেকে ১০ বছরে ভারতে সোনার চাহিদা আরও বাড়বে। কারণ, ভারতের জিডিপি ও প্রতি ব্যক্তির মাথা পিছু আয়ের পরিমাণ দিন দিন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ভারতে গরিবের সংখ্যা কমে মধ্যবিত্তের সংখ্যা বাড়বে। আর এটা হলে ভবিষ্যতে সোনার চাহিদা বাড়বে। দেখা গিয়েছে, ভারতে প্রতি ব্যক্তির আয় ১ শতাংশ বাড়লে। সোনার চাহিদাও ১ শতাংশ বেড়ে যায়। কিন্তু অন্যদিকে সোনার দাম ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে চাহিদা ০.৫ শতাংশ হ্রাস পায়।
Channel Hindustan Channel Hindustan is Bengal’s popular online news portal which offers the latest news