চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো:
কোভিড রোগীদের উপসর্গ অনেক ক্ষেত্রে বোঝা যাচ্ছে না। ফলে কি ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে চিকিৎসক মহলে। কখনও রোগীকে ভেন্টিলেটরে রাখতে হয়, কখনও বা অক্সিজেন দিতে হয়। অর্থাৎ সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করা প্রয়োজন। তা না হলে রোগীর জীবন হানির সংশয় থাকে। সেই দিকের কথা মাথায় রেখে করোনা চিকিৎসার ৬টি পদ্ধতি আবিস্কার করেছেন ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা।
লন্ডনের কিংস কলেজের একটি দল গবেষণা করে করোনা রোগীর উপসর্গের পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত ৬টি পদ্ধতি বা ধাপ বের করেছেন। এই ৬টি পদ্ধতিকে দিনের হিসেবেও ধরা যেতে পারে। অর্থাৎ প্রথম দিন রোগীর যে লক্ষণ দেখা গিয়েছে, দ্বিতীয় দিনও যদি সেই একই লক্ষণ দেখা যায় তবে তা প্রথম ধাপ। আর যদি আলাদা লক্ষণ দেখা যায় তবে তা দ্বিতীয় ধাপ বা দ্বিতীয় দিন। এইভাবে রোগীর লক্ষণ অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ৬টি দিনের কথা উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
এই পদ্ধতির সুফল হিসেবে গবেষণায় যুক্ত চিকিৎসক ক্লাইরে স্টিভ বলেন, “অনেক সময় কোনও ব্যক্তির করোনা হয়েছে কিনা বোঝা যায় না। বা বোঝা গেলেও রোগীকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা চলছে। সেক্ষত্রে এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে বাড়ির লোক লক্ষণ দেখে রোগীর বাড়াবাড়ি হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে পারবেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকরাও কখন রোগীকে ভেন্টিলেটর বা অক্সিজেন দেবেন তা বুঝে উঠতে পারেন না। ফলে রোগীর প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা থাকে। তাই এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে অনেকটাই সাহায্য করবে।”
পদ্ধতিগুলি হলঃ –
১.) ‘ফ্লু জাতীয়’ কিন্তু জ্বর নেই: মাথার যন্ত্রণা, ঘ্রাণ শক্তি হ্রাস, পেশী ব্যাথা, গলা ব্যথা, বুকে ব্যথা, জ্বর নেই।
২.) ‘ফ্লু জাতীয়’ জ্বর আছে: মাথার যন্ত্রণা, ঘ্রাণ শক্তি হ্রাস, কাশি, চোখে ধোঁয়াটে ভাব, গলা ব্যথা, ক্ষুদা হ্রাস, জ্বর আছে।
৩.) গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল: মাথার যন্ত্রনা, ঘ্রাণ শক্তি হ্রাস, ক্ষুধা হ্রাস, ডায়রিয়া, গলা ব্যথা, বুকে ব্যথা, কাশি নেই।
৪.) প্রথম ধাপের গুরুতর অবস্থা: মাথার যন্ত্রণা, ঘ্রাণ শক্তি হ্রাস, কাশি, জ্বর, ধোঁয়াটে ভাব, বুকে ব্যথা, ক্লান্তি।
৫.) দ্বিতীয় ধাপের গুরুতর অবস্থা: মাথার যন্ত্রণা, ঘ্রাণ শক্তি হ্রাস, ক্ষুধা হ্রাস, কাশি, জ্বর, ধোঁয়াটে ভাব, গলা ব্যথা, বুকে ব্যথা, ক্লান্তি, পেশী ব্যথা ও মানসিক অস্থিরতা।
৬.) তৃতীয় ধাপের গুরুতর অবস্থা: মাথার যন্ত্রনা, ঘ্রাণ শক্তি হ্রাস, ক্ষুধা হ্রাস, কাশি, জ্বর, ধোঁয়াটে ভাব, গলা ব্যথা, বুকে ব্যথা, ক্লান্তি, মানসিক অস্থিরতা, পেশী ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা।
গবেষকদের মতে ৪, ৫ ও ৬ পদ্ধতির উপসর্গগুলি দেখা গেলে রোগীকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের কষ্ট কমানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।