ওয়েব ডেস্ক
কিছুদিন আগে প্রকাশিত হয়েছিল মাথায় হেলমেট পরে ক্লাস করাচ্ছেন স্কুলের শিক্ষিকা এবং সরকারী কর্মচারীরা। কারণ মাথায় নড়বড়ে ছাদ ভেঙে পড়তে পারে সেই ভয়ে। কিন্তু এ এক অভিনব ব্যাপার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানলে বোধহয় খুশি হবেন একটি পরিবারের সকলেই বাড়িতে সবসময় হেলমেট পরে ঘুরে বেড়ান। চোখ কপালে তো! সচেতনতা বাড়াতে রাজ্যে রকমারি সব বিজ্ঞাপন তৈরি করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, তাতেও বিশেষ ফল হচ্ছে না কিছুই। পথচলতি মানুষের গ্যাঁটের কড়ি খরচা হচ্ছে হেলমেট না পরার মাশুল দিতে গিয়ে।
আসুন খোলসা করা যাক। শিশুদের মাথায় সাধারনত ‘ফ্ল্যাট হেড সিনড্রোম’ নামের একটি রোগের লক্ষণ দেখা যায়। সাধারণত শিশুর বেড়ে ওঠার সঙ্গে মাথার আকারও বাড়তে থাকে। তবে অনেক সময় সেই আকার সঠিকভাবে বাড়ে না। যার ফলে তৈরি হয় একাধিক সমস্যা। ছোটবেলায় বাড়ির বড়রা সরষের বালিস করে বাচ্চাদের মাথায় দেন, মাথার আকার যাতে সঠিক থাকে। কিন্তু এখন এই ব্যস্ত জীবনে সেসবের সময় কোথায়! তাই অগত্যা হেলমেটই ভরসা। তাই বিশেষ একধরনের হেলমেট পাওয়া যায় শিশুদের এই রোগের হাত থেকে মুক্ত করতে। এমনই এই রোগের শিকার টেক্সাসের এক শিশু। তা বলে বাড়ির সকলেই হেলমেট পরে রয়েছেন এ দৃশ্য সত্যিই বিরল।
৪ মাসের বাড়ির খুদে সদস্য জোনাস গুটিরেজ শুরু করেছিল হেটমেট পরা। কারণ, তার রয়েছে ফ্ল্যাট হেড সিনড্রোম-এর সমস্যা। তাই দেখে কিনা তাঁর ৩ বছরের বোন ক্যামিলা বায়না করতে থাকে তারও চাই ভাইয়ের মতো হেলমেট। ক্যামিলার দাবি, এতে নাকি তার ভাইয়ের অস্বাভাবিক কিছু মনে হবে না। ওর কাছেও হেলমেটটা স্বাভাবিক লাগবে।
এ প্রসঙ্গে ক্যামিলার মা স্যায়ানা জানান, ক্যামিলার এই যুক্তিটা খুবই পছন্দ হয় আমার। ওর সিদ্ধান্তে আমি খুশি হয়ে ওকেও হেলমেট কিনে দিই।
এ পর্যন্ত ঠকই ছিল। এর কিছুদিন পরেই সন্তনদের বাবা গ্যারি গুটিরেজেরও ইচ্ছে হয় হেলমেট পরতে। শুনে তো খানিক অবাকই হন স্ত্রী স্যায়ানা। এরপর বাবার জন্যও আসে হেলমেট। বাড়ির তিনজনে মিলে হেলমেট পড়ে সেই ছবি টুইটারে পোস্ট করতেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ছবি।
সবই ঠিক আছে তবে মাঝে মাঝে টেক্সাসের গরম রোদ মাথায় পরতেই বেজায় ঘেমে ওঠে মাথা। এটাই যা সমস্যা, বললেন স্যায়ানা। তবে যাই হোক বা কেন, ছোট্ট থেকে হেলমেট পরার সচেতনতা তো তৈরি হচ্ছে।
দেখুন ভিডিয়ো
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন