দেবক বন্দ্যোপাধ্যায় -নীল বণিক :
কালী কলকাত্তাওয়ালি কিংবা বঙ্গের দেবী মানেই দুর্গা। ভারতবর্ষের শস্য শ্যামলা এই ভূখণ্ডে কালী ও দুর্গার সঙ্গে মহাদেব শিব অবশ্যই অধিষ্ঠিত কিন্তু মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম! ভাগীরথীর তীরে তাঁর তেমন চর্চা নেই। যদিও মাত্র ৬০-৭০ বছর আগেও এই রাজ্যের ঘরে ঘরে সন্ধেবেলা মা-ঠাকুমারা বসতেন কৃত্তিবাসী রামায়ন খুলে। মাত্র ৩০ বছর আগের বালক-বালিকারাও ছুটির দুপুরে মজে থাকত ঠাকুমা-দিদিমার মুখে রামের বীরত্বের কাহিনীতে। আর এই তো সেদিন সারা ভারতবর্ষের মত এই রাজ্যের আপামর জনতার দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকত টিভির পর্দায়, রামানন্দ সাগরের রামায়ন দর্শনে।
কলকাতার বুকে অতি ব্যস্ত একটি বাস স্টপেজের নামই হয়ে গেছে রামমন্দির। তবু কোনও এক গুঢ় কারনে শ্রীরাম যেন বাঙালির নন! তথাকথিত শিক্ষিত বাঙালির তো কখনওই নয়! শ্রীরামচন্দ্রকে তাঁরা হিন্দি বলয় বা গো- বলয়ের আরাধ্য বলে যেন কিছুটা দুরে করে রেখেছেন। যদিও তুলসীদাসের হিন্দি রামায়ণ, রামচরিতমানস লেখা হয়েছিল ষোড়শ শতাব্দীতে আর বাঙলি কবি কৃত্তিবাস ওঝা সেই কাজটি সেরে রেখেছিলেন পঞ্চদশ শতাব্দীতেই।
এবার কৃত্তিবাসের দেশে একবার কড়া নেড়ে দেখতে চাইছেন প্রবীন তোগাড়িয়া।
পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে এবার ঝড় তুলতে চান প্রবীন তোগাড়িয়া। নতুন বছরের একেবারে শুরুতেই এই ইস্যুতে তাঁরা প্রচার অভিযান শুরু করতে কলকাতায় আসছেন। অযোধ্যা থেকে বেশ কয়েকজন করসেবকও এই রাজ্যে আসবেন। তাঁরাই মূলত কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে রাম মন্দির তৈরির দাবিতে সভা করবেন। এখনও পর্যন্ত এমনটাই স্থির হয়ে আছে।
তবে মমতার রাজ্যে করসেবকদের সভা করার অনুমতি পাওয়া নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত বিশ্বহিন্দু পরিষদের দিল্লির কর্তারা। তবে মমতার প্রশাসন যদি শেষ পর্যন্ত সভা-সমিতিতে বাধা দেয়, তাহলে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতেও পিছু হটবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan