চ্যানেল হিন্দুস্থান ডেস্কঃ পুরুষ, মহিলা বা রূপান্তরকামী-সকলের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে খুলে দেওয়া হল লিঙ্গ নিরপেক্ষ শৌচালয়।অর্থাৎ সব লিঙ্গ পরিচিতির ব্যক্তিরাই ব্যবহার করতে পারবেন এই শৌচালয়টি। যার প্রথমটি গত সোমবার ইংরেজি বিভাগে চালু হয়েছে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগেও একটি শৌচালয়কে লিঙ্গ নিরপেক্ষ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এভাবেই আগামীতে ক্যাম্পাসের প্রতিটি ভবনে একটি করে লিঙ্গ নিরপেক্ষ শৌচালয় গড়ে তুলতে সচেষ্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।পুরুষ ও মহিলা, সাধারণত এই দুই লিঙ্গের জন্য থাকে পৃথক পৃথক শৌচালয়। কিন্তু, এই দুই ভাগের মধ্যে কোনটি ব্যবহার করবেন রূপান্তরকামীরা? এই প্রশ্ন তুলে মূলত তাঁদের স্বার্থেই দীর্ঘদিন ধরে লিঙ্গ নিরপেক্ষ শৌচালয়ের দাবি জানিয়ে আসছিল যাদবপুরের পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। ছাত্র ইউনিয়নগুলির তরফেও বহুবার এই দাবি জানানো হয়েছে। তাঁদের দাবিকে মান্যতা দিয়েই প্রথম লিঙ্গ নিরপেক্ষ শৌচালয় গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। তাঁর কথায়, “এটা অনেকদিন ধরেই ছাত্রছাত্রীদের দাবি ছিল। আমরা এভাবেই প্রত্যেকটি ভবনে একটা করে লিঙ্গ নিরপেক্ষ শৌচালয় গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করছি। আমাদের যেহেতু ‘ইনক্লুসিভ ক্যাম্পাস’, তাই আমাদের কার্যকলাপের মধ্যে যাতে তা প্রতিফলিত হয় আমরা সর্বদা তার চেষ্টা করে চলি।” পড়ুয়া ও গবেষকদের জন্য চালু এই শৌচালয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা উঠে এসেছে ইংরেজি বিভাগের প্রধান মনোজিৎ মণ্ডলের কথায়। তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অনেক পড়ুয়া, গবেষক রয়েছেন, যাঁরা নিজেদের পুরুষ বা মহিলা বলে মনে করেন না। এতদিন তাঁরা স্বচ্ছন্দে শৌচালয় ব্যবহার করতে পারত না। তাঁদের কথা ভেবেই একটা শৌচালয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এই শৌচালয় ব্যবহার করতে পারবে। আমাদের বিভাগের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগেও একটি লিঙ্গ নিরপেক্ষ শৌচালয় চিহ্নিত করেছে।” এই পদক্ষেপকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা তো বটেই, সাধুবাদ জানিয়েছেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও।
