চ্যানেল হিন্দুস্থান ডেস্কঃ কালো টি-শার্ট, ফেড হয়ে যাওয়া জিনস। দরদর করে ঘামছেন। তবুও একটুও বিরক্তি নেই তাঁর। দর্শকদের দিকে তাকিয়ে মুখে হাসি নিয়ে হাসছেন। একের পর এক গান গেয়ে চলেছেন। কে জানত? এই প্রাণখোলা মানুষটা আর কিছুক্ষণের মধ্যেই না ফেরার দেশে পাড়ি দেবে। কলকাতার নজরুল তীর্থে পারফর্ম করতে এসেছিলেন KK। মুম্বই ফিরে গেল তাঁর নিথর দেহ। সেই ঘটনা আজও অনুরাগীদের কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকে। গত বছরের ৩১ মে KK-র অনুরাগীদের কাছে ছিল অভিশপ্ত দিন। আচমকাই তারকা শিল্পীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। গত বছর ৩১ তারিখ শ্রী গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের জন্য শো করতে এসেছিলেন। এদিন অনুষ্ঠানে সময়ই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ তিনি মঞ্চে ওঠেন। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে গন্ডোগোল শুরু হয়। প্রবেশের সময় ছাত্রদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এরপর ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করা হয় বলেই জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পরেন তিনি। মঞ্চে থাকাকালীন স্পটলাইট বন্ধ করতেও বলেছিলেন তিনি । অসুস্থ বোধকরায় তিনি হোটেলে ফিরে যান। সেখানেই তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা । কে কে মানেই সঙ্গীতপ্রেমী দের আবেগ । নজরুল মঞ্চে শিল্পীর শেষ গান ‘হাম রেহে ইয়া না রেহে কাল’ মন ছুঁয়েছিল শ্রোতাদের । তবে সত্যই অনুষ্ঠানের শেষে ভক্তদের কাছে আর ফেরা হল না তাঁর। চলে গেলেন , কে কে । তবে অনুগামী দের মনে আজও রয়েছেন কে কে। সত্যিই শিল্পী তাঁর শিল্পকর্মের মধ্যেই বেঁচে থাকেন। তাই তো KK-র মতো শিল্পীদের কখনও ‘আলভিদা’ বলা যায় না। স্মৃতির মণিকোথায় তাঁদের সুরেলা কীর্তি সযত্নে সাজিয়ে রাখতে হয়।
