চ্যানেল হিন্দুস্থান, নিউজ ডেস্ক-
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে একের পর এক নেতা-মন্ত্রী ছাড়াও এমন সব মানুষের নাম উঠে এসেছে, যারা সাধারণ মানুষের কাছে সেভাবে পরিচিত ছিলেন না।তেমনই এক ব্যক্তি হলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, যাকে দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’ হিসেবেই পরিচিতি পায়। আজ তদন্তকারী আধিকারিকরা তার বাড়িতে হানা দিলো।
আগে ‘কালীঘাটের কাকু’কে তলবও করা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। আর এবার সস্বয়ং হাজির সিবিআই সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার সকালে তার বেহালার বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন ৬-৭ জন সিবিআই আধিকারিক। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে তার বাড়ির সামনে।নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে, সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রথম ‘কালীঘাটের কাকু’র নাম সামনে আসে গোপাল দলপতির মুখে। কুন্তল ঘোষ চাকরি বিক্রির টাকা কোথায় পৌঁছে দিতেন? এই প্রশ্নের মুখেই গোপাল দলপতি ‘কালীঘাটের কাকু’র প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। তিনি দাবি করেন, কুন্তল ঘোষ নাকি টাকা পৌঁছে দিতেন ‘কালীঘাটের কাকু’র কাছে।
পরে গোয়েন্দারা জানতে পারেন ‘কালীঘাটের কাকু’ আসলে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তবে তিনি আদতে কালীঘাটের বাসিন্দা নন, বেহালায় থাকেন। তবে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ যে তাকে কাকু বলে সম্বোধন করতেন, সে কথা স্বীকার করেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে, তার দাবি নিয়োগ দুর্নীতিতে তার কোনও যোগ নেই। সবটা নাকি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
গত মার্চ মাসে সুজয়কৃষ্ণকে তলব করেছিল সিবিআই। আইনজীবীদের নিয়ে নিজাম প্যালেসেও গিয়েছিলেন তিনি। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাকে। তবে সিবিআই গোয়েন্দারা কী কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তা নিয়ে জল্পনা থাকলেও বেরিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। সেই সময় বেশ কিছু নথিও নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আর এবার তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই।