ঈষাণিকা ভোরাই :
সুত্রপাতেই সুর কাটল তৃতীয় ফ্রন্টের!
দেশের দুই অনশন খ্যাত নেতা-নেত্রী, যাঁরা দুজনেই দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন, নিজ নিজ রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে দিল্লির দিকে পা বাড়াবার সূচনা কালেই নিজেদের মতান্তর সামনে এনে ফেললেন।
কেসিআর বললেন, না-কংগ্রেস না-বিজেপি জোটের কথা আর দিদি বোঝালেন কংগ্রেসকে বাদ রেখে জোট হবার নয়। অর্থাৎ কংগ্রেস সহ সব বিরোধী দল নিয়ে মোদি বিরোধী মঞ্চ। যদিও কংগ্রেসকে নিয়েই যদি জোট করতে হয় তাহলে সে কাজ তো ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন সনিয়া। মমতাকে সমান্তরালভাবে আরও একটা জোট প্রক্রিয়া চালাতে হচ্ছে কেন তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। সোমবার মমতার সঙ্গে বৈঠকের পর নবান্নে সাংবাদিকদের সামনে কে চন্দ্রশেখর রাও বলেছেন, “চমৎকার চাই চমৎকার!” জোট প্রক্রিয়ার এমন গোলোকধাঁধা অবস্থা অনুধাবন করে কেসিআর-এর এমন চমৎকারের কথা বলেছেন কী না তা সম্ভবত জানে একমাত্র চারমিনার গেট!
টিআরএস চাইছে অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি জোট। মানুষের প্রয়োজনে সমমনোভাবাপন্ন দলগুলোকে নিয়ে জোটের কথা বললেন কেসিআর। কিন্তু কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে এই জোট সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন তৃণমূল নেত্রী। তাই তিনি কৌশলে অ-কংগ্রেসি শব্দটাকে বাদ দিয়ে সবাইকে নিয়েই ফেডারেল ফ্রন্টের কথা বলেন। তবে দুই নেতা নেত্রীর কেউই এটা বলতে পারলেন না যে প্রস্তাবিত এই জোটের নেতৃত্ব কে দেবেন। তাঁরা খুব ভাল করেই জানেন বিরোধী জোট যাই হোক না কেন প্রধানমন্ত্রীত্বের স্বপ্ন দেখছেন সবাই। তা সে কে চন্দ্রশেখর রাও হোন বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথবা মায়াবতী কিংবা শরদ পাওয়ার। এর উপর রাহুল গান্ধী তো রয়েছেনই। ফলে সোমবারের এই বৈঠককে যে “সুন্দর শুরু” হিসেবে বলছেন কেসিআর, সেখানে অ-কংগ্রেসি জোটের কথা বলে এই জোটের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে অঙ্কুরেই বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন মমতা স্বয়ং।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan