সুদীপ চক্রবর্তী
মিছিলের শেষে
সেই কবে নিজেকে জ্বালিয়ে নিয়েছি মোমবাতি
হাওয়ার মধ্যে উড়ে গেছি
তখনও সন্ধ্যারতি শেষ হয়নি বাড়ির।
কে যেন ভননি দুপুরবেলা বুঝিয়েছে
পৃথিবী চক্রাকারে ঘোরে
প্রতিটি আরোহে প্রতিটি অবরোহে
লেখা আছে আগুনের নাম
সেই কবে নিজেকে ছেড়ে থাকা
অভ্যাস করেছি
আরও আরও বেঁচে থাকার জন্য
তুমি আমাকে নদী দেখতে শিখিয়েছ
শরীরের মধ্যে সেই প্রথম উত্তেজনা
পোশাকে পৃথিবীর মানচিত্র আঁকা।
জ্বলতে-জ্বলতে এত ক্ষয়ের মধ্যে
এত আলোর মধ্যে
তবে কি নিভে যাবে মোমবাতি
………………
নতুন জামাই এলে
তারুণ্য যেভাবে পাত্তা দেয় না বৃদ্ধের যন্ত্রণা
যেভাবে ডেকে ওঠে আসন্ন প্রসবা গরু
নদীর পাড় ধরে যে মাঝি টেনে নিয়ে যায় নৌকার গুন
পালক সহ একদাম
ছাড়ানো আলাদা
জামাই এসেছে বাড়িতে হুলুস্থুল পড়ে যাবে
পাথরের গ্লাস ঠাকুমার কাছে পাওনা
তুমি যুগ উত্তীর্ণ হতে চেয়েছ
বেদানার জায়গায় চেয়েছ ডালিম
ভেবেছ সবাই পছন্দ করে অরণ্যের নিস্তব্ধতা?
অথচ মানুষ সবাই আলাদা
গাজনের আগে আমরা অপেক্ষা করে থাকি
দু-একটা ঝড়ের,
পরের দিন বাজারে কচি আম সস্তা হবে বলে।