(Pic Courtesy: Shreya Goswami)
কমলেন্দু সরকার :
সত্যজিৎ রায় পেয়েছিলেন ১৯৮৭-তে, তাঁর অপু কিংবা ফেলু পেলেন ঠিক ৩০ বছর পর ২০১৭-তে। সর্বোচ্চ ফরাসি সম্মান ‘লিজয়ঁ দ’ নর। আর এক বাঙালি পেয়েছিলেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর। কলকাতায় এসে এই সম্মান তুলে দেওয়া হবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের হাতে।
বাংলা ছবির প্রবাদপ্রতিম অভিনেতাকে কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ‘বঙ্গবিভূষণ’-এ সম্মানিত করেছিল। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় সম্মান দাদাসাহেব ফালকে। পেয়েছেন সঙ্গীতনাটক অকাদেমি, পদ্মভূষণও।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় শুধু সিনেমা নয়, মঞ্চেও সমান দক্ষ। দুই ধারাতেই তাঁর অভিনয় শুধু মুগ্ধ করে না, ভাবায় এবং চমকে দেয় দর্শকদের। সবচেয়ে বড় ব্যাপার তিনি যখন সিনেমায় অভিনয় করেন তখন কখনওই মনে তিনি নাটকেও সমান পারদর্শী। আবার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে মঞ্চে অভিনয় করতে দেখলে সেই সময় কখনওই মনে পড়েনা অপু, অমল, অজয় কিংবা ক্ষিতদা-র কথা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি চলচ্চিত্র তো বটেই তিনি মঞ্চেও আন্তর্জাতিক মানের অভিনেতা। আমার মনে হয়, তাঁর এই লিজিয়ঁ দ’ নর সম্মানপ্রাপ্তিতে সব বাঙালিই গর্বিত।