প্রমথেশ সেন।
খুবই ব্যতিক্রমী চরিত্র ছিলেন।
সেটা ১৯৮১-৮২ সাল ইন্দিরা গান্ধী তখন প্রধানমন্ত্রী।
সেই সময় কেন্দ্রীয় শ্রমনীতির প্রতিবাদে সিটুসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি সুব্রতদা তথা রাজ্য আই এন টি ইউ সি -র সভাপতির কাছে একযোগে ধর্মঘট করার প্রস্তাব দেয়। আমাদের সংগে আলোচনা করে যৌথ আন্দোলনে সম্মতি দেন সুব্রত দা। মজার ব্যাপার হলো সেই সময়ে কংগ্রেসে সুব্রত মুখার্জির বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা সোমেন মিত্র ইন্দিরাজীর কাছে নালিশ করলেন যে সুব্রত মুখোপাধ্যায় সিপিআই এম এর সংগে হাত মিলিয়ে ওনার বিরুদ্ধে ধর্মঘট করছে। ইন্দিরাজী সুব্রতদা ও সোমেন উভয় পক্ষকেই ডেকে বলেন, সুব্রত এঁরা তোমার নামে অভিযোগ করেছেন। তুমি নাকি আমার বিরুদ্ধে সিপিআই এম এর সংগে হাত মিলিয়ে ধর্মঘট ডেকেছো ? সুব্রত মুখোপাধ্যায় বললেন যে ন্যুনতম মজুরি, পি এফ ইত্যাদি কতগুলো আইন শ্রমিকদের পক্ষে নয় বলে আমি মনে করি। এই পরিস্থিতিতে আমি যদি যৌথ আন্দোলনে না যাই তাহলে শ্রমিকরা কি আমাদের তথা কংগ্রেসের পক্ষে থাকবে? তোমার বিরুদ্ধে নয় তোমার পক্ষেই আমার যৌথ আন্দোলন।
ইন্দিরা গান্ধী তখন হেসে ফেলে বলেন ‘দিস্ ইজ সুব্রত।’ স্বাভাবিক ভাবেই সোমেনদারা অপ্রস্তুতে পড়ে যান!
এছাড়াও জুট চা ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে শ্রমিক মালিক সম্পর্কের নতুন সমীকরণও করেন তিনি। মালিক মানেই চোর আর শ্রমিক মানেই ফাঁকিবাজ এই চিন্তাধারার পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেন সুব্রত দা।