মধুমন্তী
তিন তালাক নিয়ে সুপ্রীম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আগেই মুখ খুলেছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এবার সিদ্দিকুল্লার তোপ প্রবীন তোগাড়িয়ার বিরুদ্ধে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দুই সন্তানের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে,শুক্রবার, মমতার মন্ত্রী বললেন, সন্তান যত বেশি হবে তত বাড়বে দেশের ফৌজের শক্তি। যদিও এক্ষেত্রে তিনি শুধু পুত্র সন্তানের কথাই বলছেন নাকি কন্যাসন্তানরাও এর মধ্যে আছেন, তা তাঁর কথায় স্পষ্ট নয়।
এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সমাজের মধ্যে সিদ্দিকুল্লা এখন কিছুটা একঘরে। পশ্চিমবঙ্গে তো বটেই এমনকী সমগ্র মুসলিম দুনিয়ায় ফুরফুরা শরিফে অত্যন্ত মর্যাদার আসনে আসীন। সেই ফুরফুরা শরিফের ত্বহা সিদ্দিকি তিন তালাক নিয়ে শীর্ষ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। রায় নিয়ে সিদ্দিকুল্লার বক্তব্যকে নাকচ করেছেন তিনি। একদা মমতা ঘনিষ্ঠ ইমাম বরকতি সাহেব এখন কলকাতায় কিছুটা বেকায়দায় থাকলেও সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে তাঁর কদর এখনও কমেনি। বরকতি কট্টর মুসলিম হলেও শীর্ষ আদালতের রায়কে সমর্থন করেছেন। এমনকী সিদ্দিকুল্লার অবস্থান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের কাছে অপদস্থ করবে বলেও মনে করেন তিনি।
এমতাবস্থায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা প্রবীন তোগাড়িয়ার বক্তব্যের কড়া বিরোধিতা করার সংযোগ হাতছাড়া করেননি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
তাবলে অনেকগুলি সন্তানের জন্ম দেওয়া মানে দেশের ফৌজের আয়তন বৃদ্ধি! চৌধুরীর এই মনোভাব অবাক করেছে অনেককেই।
সম্প্রতি প্রবীণ তোগাড়িয়া বলেন, পরিবার পিছু দুটি সন্তানের আইন আনতে হবে। তোগাড়িয়ার পাল্টা মমতা-মন্ত্রীসভার অন্যতম মন্ত্রী এবং ইদানীং মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, “২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা চিনকেও অতিক্রম করবে। আর ভারতের জনসংখ্যা না বাড়ালে অন্য দেশের সঙ্গে কী করে লড়াই করবে ভারত! হিন্দু নেতা মানুষকে খাওয়ায় না, এসব নিয়ে শিক্ষা দেওয়ারও প্রয়োজন নেই। এই অযৌক্তিক বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই।”
সিদ্দিকুল্লা যাই বলুন, তাঁর এই অনেক সন্তান-সন্ততি নিয়ে ফৌজ গড়ার বিষয়টি হাসির খোরাক যুগিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan